যুদ্ধাপরাধ: হবিগঞ্জের আ. লীগ নেতাসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক নেতাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 May 2018, 09:02 AM
Updated : 13 May 2018, 09:02 AM

এরা হলেন- হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবুল খায়ের গোলাপ মিয়া (৬৬), জামাল উদ্দিন আহম্মদ (৬৫) ও শেখ গিয়াস উদ্দীন আহমদ (৭০)।

আসামিদের বিরুদ্ধে তদন্ত সংস্থার দেওয়া তদন্ত প্রতিবেদন যাচাই-বাছাইয়ের পর পাঁচটি অভিযোগ এনে রোববার প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মালুম ট্রাইব্যুনালের আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করেন। তার সঙ্গে ছিলেন প্রসিকিউটর রেজিয়া সুলতানা চমন। আসামিদের পক্ষে ছিলেন, আইনজীবী গাজী এম এইচ তামিম।

চমন পরে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “অভিযোগ আমলে নেওয়া হবে কি হবে না, সে বিষয়ে আগামী ৪ জুন আদেশের দিন রেখে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির বেঞ্চ।”

গত ৮ মার্চ এ তিন আসামির বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। সেদিনই তা প্রসিকিউশনে জমা দেওয়া হয়।  

তিন আসামির মধ্যে গোলাপ মিয়া ও জামাল উদ্দিন কারাগারে আছেন। অপর আসামি শেখ গিয়াস উদ্দীন আহমদ পলাতক।

মুক্তিযুদ্ধের সময় তিন আসামিই কনভেনশন মুসলীম লীগের সমর্থক ছিলেন। তার মধ্যে গোলাপ মিয়া নবীগঞ্জ থানার গজনাইপুর ইউনিয়নের রাজাকার কমান্ডার ছিলেন। তার বাবা ছিলেন একই ইউনিয়নের শান্তি কমিটির সদস।

আসামী জামাল উদ্দিনের বাড়ি একাত্তরে ছিল একই থানার লোগাঁও গ্রামে। এখন সেখানে তার বাড়িঘর নাই। সে আসামী গোলাপ মিয়ার ঘনিষ্ঠ বন্ধু। বর্তমানে সে বিএনপির সমর্থক।

আর আসামী গিয়াস উদ্দীন আহমদ কনভেনশন মুসলীম লীগের সমর্থনের পাশাপাশি গজনাইপুর ইউনিয়ন শান্তি কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন। বর্তমানে সে জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।

এদের বিরুদ্ধে হত্যা, গণহত্যা, অপহরণ, আটক, নির্যাতন, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ ও ধর্ষণের মত মানবতাবিরোধী অপরাধের ৫টি অভিযোগ এনেছে তদন্ত সংস্থা।

এর মধ্যে ১৭ জনকে হত্যা, ৬ নারীকে ধর্ষণ, ২৫টি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও ৩০ জনকে অপহরণ-নির্যাতনের অভিযোগ উঠে এসেছে তদন্তে।