‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত যুবক তালহা হত্যার সন্দেহভাজন

রাজধানীর ওয়ারী থানার জয়কালী মন্দির এলাকায় পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত রাকিব ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র খন্দকার আবু তালহা হত্যার প্রধান সন্দেহভাজন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 April 2018, 09:06 AM
Updated : 6 April 2018, 09:48 AM

ওয়ারি থানার এসআই আবদুল খালেক বলছেন, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে জয়কালী মন্দির এলাকার হোমিও কলেজের পেছনে গোলাগুলির ঘটনায় ২২ বছর বয়সী রাকিবের মৃত্যু হয়।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, "একদল ডাকাত সেখানে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিল। ওই সময় পুলিশের উপস্থিতি দেখে তারা পালানোর সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। পুলিশও পাল্টা গুলি করলে একজন আহত হয়।”

গুলিবিদ্ধ ওই তরুণকে ভোর ৪টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন বলে জানান মেডিকেল পুলিশ ফাঁড়ির এসআই বাচ্চু মিয়া।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, ওই তরুণের পরনে ছিল জিন্স ও হাফহাতা গেঞ্জি। হাসপাতালের রেকর্ডে তাকে নথিভুক্ত করা হয় অজ্ঞাতপরিচয় হিসেবে।

পরে ওয়ারীর ওসি রফিকুল ইসলাম জানান, ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ওই যুবকের নাম মো. রাকিব। ওয়ারী থানাধীন বনগ্রাম এলাকায় তার বাসা।

“গত বছরের অক্টোবরে ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির ছাত্র আবু তালহা হত্যা মামলার মূল সন্দেহভাজন রাকিব। এছাড়া গত ১ এপ্রিল রাতে জয়কালী মন্দির এলাকায় আরেকটি ছেলে খুন হয়, ওই ঘটনায় ২ তারিখ যে মামলা হয়েছে সেখানেও সে আসামি।”

এর আগে ওয়ারী থানার একাধিক ছিনতাই মামলার অভিযোগপত্রেও রাকিবের নাম এসেছে বলে জানান ওসি।

ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্সের ছাত্র তালহা গত ৮ অক্টোবর সকালে ওয়ারীর বাসা থেকে রিকশায় করে যাত্রাবাড়ী যাওয়ার পথে বাসার কাছেই ছিনতাইকারীর কবলে পড়েন। ছিনতাইকারীর ছুরিতে আহত তালহাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখঅনে তার মৃত্যু হয়।

ওই ঘটনার নয় দিন পর বেলাল হোসেন সবুজ ও আব্দুর রহমান মিলন নামের দুই ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তারা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দেন।

আদালতে ১৬৪ ধারায় তাদের দেওয়া জবানবন্দি থেকেই তালহা হত্যাকাণ্ডে রাকিবের ‘মূল ভূমিকায়’ থাকার কথা পুলিশ জানতে পারে বলে ওয়ারীর ওসি রফিকুল ইসলাম জানান।

থানার এসআই খালেক বলেন, ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত রাকিবের দুই সঙ্গী মো. জাকির (২০) ও মো. ধলাকে (১৮) আটক করা গেলেও ওই দলের কয়েকজন পালিয়ে যায়।

আটকদের কাছ থেকে দুটি চাপাতি, দুটি ছোরা ও একটা চাকু উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানান তিনি।