ইউএস-বাংলা দুর্ঘটনা: কবিরকে নেওয়া হচ্ছে সিঙ্গাপুরে

নেপালে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় আহত হয়ে লাইফ সাপোর্টে থাকা কবির হোসেনকে সিঙ্গাপুর পাঠানো হচ্ছে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 March 2018, 06:12 AM
Updated : 24 March 2018, 06:13 AM

শনিবার সকালে ১৭ জন চিকিৎসকের একটি বোর্ড বসে কবিরকে সিঙ্গাপুর পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের আবাসিক সার্জন ডা. হোসেইন ইমাম।

আহত কবিরের অবস্থার অবনতি ঘটলে শুক্রবার রাতে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়।

মেডিকেল বোর্ডের সদস্য ডা. ইমাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কবিরের ডান পা টি কেটে ফেলতে হতে পারে। এই বিষয়ে তার পরিবারের মতামত নিতে গেলে তারা কবিরকে সিঙ্গাপুরে নিয়ে চিকিৎসা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন।”

মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার বাজিতপুর গ্রামের মৃত মোসলেম আলী মাতব্বরের ছেলে কবির হোসেন তার স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে ঢাকার উত্তরখানের কুনিপাড়া এলাকায় নিজের বাড়িতে থাকেন। 

প্রসাধনী সামগ্রীর আমদানিকারক কবির ব্যবসার কাজে প্রতি মাসে একাধিকবার দেশের বাইরে যেতেন বলে তার পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন।

তাকে সিঙ্গাপুর নেওয়ার বিষয়ে ইউএস-বাংলা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা হয়েছে বলে জানান চিকিৎসক ইমাম।

তিনি বলেন, “ইউএস-বাংলা এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করে কবিরকে যত দ্রুত সম্ভব সিঙ্গাপুর পাঠাবে।”

ডা. ইমাম বলেন, “কবিরের ডান পাসহ সার্বিক শারীরিক অবস্থা নেপাল থেকেই ভালো ছিল না। এখন অবস্থা ক্রমান্বয়ে ডিটোরয়েটিং। আমরা কোনো রিস্ক নিতে চাইনি, তাই আগেই লাইফ সাপোর্টে নিয়েছি।”

গত ১২ মার্চ নেপালে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হওয়ার পর কবিরসহ ১০ বাংলাদেশিকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে কাঠমান্ডুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।

গত সোমবার দেশে এনে ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয় তাকে।

তখন চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, কবিরের দুই পায়েই অনেক জায়গার হাড় ভেঙে গেছে। তবে ডান পায়ে আঘাতের পরিমাণ বেশি।

আহত বাংলাদেশিদের মধ্যে আরও দুজনকে নেপাল থেকেই সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। একজনকে পাঠানো হয় ভারতে। বাকিরা ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন।

এই উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় ৪৯ জন নিহত হন। তার মধ্যে ২৬ জন বাংলাদেশি।