বুধবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা নাগাদ গুলশানের এই হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে এসব ধরা পড়ার পর ওই জরিমানা করা হয় বলে র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম জানান।
বেলা ১২টার দিকে অভিযানে গিয়ে প্রথমে হাসপাতালের পরীক্ষাগারে যায় ভ্রাম্যমাণ আদালত। পরে ফার্মেসিতে অভিযান চালানো হয়।
সেখানে প্রায় পাঁচ কার্টন রি-এজেন্ট ছিল জানিয়ে তিনি বলেন, “যত রি এজেন্ট ছিল তার প্রায় সবটাই মেয়াদোত্তীর্ণ। এছাড়া সার্জিক্যাল আইটেমের মধ্যে অস্ত্রোপচারের পর সেলাইয়ে যে সুতা ব্যবহার করা হয় তার বড় অংশও মেয়াদোত্তীর্ণ পাওয়া যায়।”
এসব কারণে এই প্রতিষ্ঠানকে ২০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
গত মাসে এক নকল ওষুধ সরবরাহকারীকে ধরার পর ঢাকার আরেক নামী হাসপাতাল অ্যাপোলোতে অভিযান চালায় র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। নকল ওষুধ ধরা পড়ায় সে সময় ওই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছিল।
“তবে অভিযানে এই হাসপাতালে নকল ওষুধ পাওয়া যায়নি,” বলেন তিনি।
এ বিষয়ে বক্তব্যের জন্য সন্ধ্যায় ইউনাইটেড হাসপাতালে যোগাযোগ করা হলে ডিউটি ম্যানেজার আমিনুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বিষয়টি নিয়ে পরে নিজেদের বক্তব্য তুলে ধরবেন তারা।
পরে রাতে হাসপাতালটির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “ল্যাবের পরীক্ষা নিরীক্ষার কাজে দীর্ঘদিন এই রি-এজেন্টগুলো ব্যবহৃত হয়নি বলে এগুলো বাতিল অবস্থায় ল্যাবের একটি কোণায় রাখা ছিল। যে সকল রি-এজেন্ট বা সুতার ম্যাটেরিয়ালকে মেয়াদোত্তীর্ণ সময়ের কাছাকাছি পাওয়া গেছে বলে বলা হচ্ছে, সেগুলোর মেয়াদ এখনও আছে।”
আর নকল ওষুধ সরবরাহকারী পলি ফার্মার বিষয়ে তারা বলছে, ইউনাইটেড হাসপাতাল বলছে, ২০১৪ সালের মাঝামাঝির পরে এই ওষুধ সরবরাহকারীর কাছ থেকে কোনো ওষুধ কেনেনি তারা। ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরে নির্দেশনায় জীবন রক্ষাকারী ওষুধ তারা জাজ করপোরেশন থেকে কিনছে।