ছাত্র ইউনিয়নের সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক রাজু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন।
১৯৯২ সালের ১৩ মার্চ গুলিতে প্রাণ হারানোর পর থেকে ছাত্র ইউনিয়ন দিনটি সন্ত্রাসবিরোধী রাজু দিবস হিসেবে পালন করে। তার স্মরণে টিএসসির সড়ক দ্বীপে নির্মিত হয়েছে ভাস্কর্য।
মঙ্গলবার টিএসসিতে রাজু স্মৃতি ফলকে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ এবং সমাবেশের মধ্য দিয়ে দিনটি পালন করে ছাত্র ইউনিয়ন।
রাজুর স্মৃতিফলকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায় প্রগতিশীল ছাত্রজোট, উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী, রাজু সংসদও। রাজুর সঙ্গে সেই মিছিলে থাকা অনেকেই ছিলেন এই শ্রদ্ধাঞ্জলি পর্বে।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সমাবেশ থেকে ১৩ মার্চকে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ‘রাজু দিবস’ পালনের আহ্বান জানানো হয়।
সমাবেশে ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি জি এম জিলানী শুভ বলেন, “শহীদ রাজুর যে স্বপ্নটি ছিল তা হল ক্যাম্পাসে গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টি করা ৷ কিন্তু তার সে দাবি আজ পর্যন্ত পূরণ হয়নি।”
রাজু হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ীদের বিচারও দাবি করেন তিনি।
ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক লিটন নন্দী বলেন, “১৯৯২ সালের ১৩ই মার্চ সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে রাজুর অবস্থান ছিল, সে সন্ত্রাস এবং দখলদারিত্ব এখনও কমেনি৷ কিছু দিন আগে এহসান রফিককে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা মেরে চোখ নষ্ট করে ফেলেছে৷ আবু বকরকে মেরে ফেলা হয়েছে৷ প্রত্যেকটা হলকে এক একটা মিনি-ক্যান্টনমেন্ট বানিয়ে রাখা হয়েছে৷ সর্বশেষ করা হয়েছে নিপীড়ন বিরোধী শিক্ষার্থীদের উপর হামলা।
“এসব কিছু মিলিয়ে ক্যাম্পাসে সন্ত্রাসের দখলদারিত্ব আছে৷ রাজু এসব সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে তার জীবন দিয়ে গেছে৷ রাজু শুধু একটি নাম নয়, রাজু একটি আদর্শ চেতনার নাম৷ এই ক্যাম্পাসে অসংখ্য রাজু জন্মগ্রহণ করুক।”
রাজু দিবস উপলক্ষে দুপুরে ছাত্র ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে একটি মিছিল বের করে।