বিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের মোমের আলোয় স্মরণ

কাঠামান্ডুতে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় নিহতদের মোমবাতি প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে স্মরণ করেছেন বাংলাদেশের বিভিন্ন মেডিকেল কলেজে অধ্যয়নরত নেপালি শিক্ষার্থীর্।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 March 2018, 04:41 PM
Updated : 13 March 2018, 04:42 PM

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজু ভাষ্কর্যের সামনে নেপালি শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে আয়োজিত এই কর্মসূচিতে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরাও অংশ নেন।

সোমবার ৭১ আরোহী নিয়ে ঢাকা থেকে রওনা হওয়া ইউএস-বাংলার উড়োজাহাজটি কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন বিমানবন্দরে অবতরণের সময় বিধ্বস্ত হয়।

এতে উড়োজাহাজটির ৪৯ যাত্রী নিহত হন, যার ২৬ জন বাংলাদেশি। সিলেটের রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজে পড়ুয়া নেপালের ১১ শিক্ষার্থীও এই দুর্ঘটনায় মারা যান।

তাদের স্মরণে আলোক প্রজ্জ্বলন শেষে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত কর্মসূচিতে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত নেপালি শিক্ষার্থী জাস গুরুং বলেন, “যারা বিমান দুর্ঘটনায় মারা গেছে, তাদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই৷ তাদের সকলের মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত৷"

নেপাল থেকে পড়তে আসা ঢাকা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী ওমর দ্বীপ চৌধুরী বলেন, "নিহতদের আত্মার শান্তি কামনা করি৷"

মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করে ও ফুল দিয়ে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর কর্মসূচি পালিত হয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারেও। এর আয়োজন হয় ‘শোকাহত সাধারণ নাগরিকবৃন্দ’ ব্যানারে৷

সমস্বরে 'আগুনের পরশমনি ছোঁয়াও প্রাণে' গানটি গাওয়ার সঙ্গে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করা হয়।

শহীদ মিনারের এই কর্মসূচিতে অংশ নেন 'প্রতিবন্ধী নাগরিক সংগঠন পরিষদ'র কর্মকর্তারা; যে সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ছিলেন দুর্ঘটনায় সপরিবারে নিহত রফিক জামান।

প্রতিবন্ধী নাগরিক সংগঠন পরিষদের  সাধারণ সম্পাদক সালমা মাহবুব বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “উনাকে পরিচালক বললে ভুল হবে। উনি ছিলেন বাংলাদেশে প্রতিবন্ধী আন্দোলনের অগ্রদূতদের একজন।”

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চলচ্চিত্র সংসদের সদস্যরাও এই কর্মসূচিতে অংশ নেন। রফিক জামান রিমু ও তার স্ত্রী সানজিদা হক সংগঠনটির আজীবন সদস্য ছিলেন।

সংগঠনটির বর্তমান সাধারণ সম্পাদক সৌরভ সরকার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “রিমু ভাই (রফিক জামান) আর বিপাশা (সানজিদা হক) আপা গত ১৬ ডিসেম্বরও আমাদের প্রোগ্রামে এসেছিলেন। সন্তান অনিরুদ্ধসহ উনাদের এই হঠাৎ চলে যাওয়ায় আমরা গভীরভাবে শোকাহত।”

৩ দিনের শোক প্রাইভেট মেডিকেলে

সিলেটের রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজের ১১জন নেপালি শিক্ষার্থীর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিএমসিএ) সভাপতি মকবুল হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক ডা. মোহাম্মদ এনামুর রহমান এমপি।

বিবৃতিতে বলা হয়, নিহতদের স্মরণে বাংলাদেশের সব বেসরকারি মেডিকেল কলেজে বুধবার থেকে তিন দিনের শোক পালনের কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।

এই তিন দিন কলেজগুলোতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সবাই কালো ব্যাজ ধারণ করবে, ওড়ানো হবে কালো পতাকা।