গণভবনে বুধবার ই-কৃষি সেবা সম্প্রসারণের জন্য ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ও অ্যাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা বলেন, “আমাদের দেশের ছেলেমেয়েদের আমরা শিক্ষা দিচ্ছি। কৃষকের ছেলে শিক্ষা নিয়ে সে কৃষিকাজে যাবে না; এই মনোভাব যেন না থাকে।”
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমরা কৃষিকে আধুনিক পদ্ধতিতে নিয়ে যাচ্ছি, যান্ত্রিকীকরণ করে দিচ্ছি। বরং কৃষি সম্পর্কে তারা যে জ্ঞান পাবে নিজের বাবা-মার কাছ থেকে, সেটাই তারা কাজে লাগাতে পারবে ভবিষ্যতে। এটা আমি মনে করি, একটা পবিত্র কাজ। এই কাজে সকলকে সম্পৃক্ত হতে হবে।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী কেন্দ্রিয় সেবা ‘কৃষি বাতায়ন’, কৃষি সম্প্রসারণ সেবা ‘কৃষকবন্ধু ফোন সেবা’ ও অ্যাপ ‘সাথী’ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
কৃষি বাতায়ন একটি কেন্দ্রিয় সেবা। এই সেবা দিতে ‘হাট’, ‘সম্প্রসারণ’, ‘মাঠ’ ও ‘কৃষিবিদ্যা’ নামের অ্যাপ তৈরি করা হয়েছে।
‘হাট’ ব্যবহার করে শহর থেকে প্রান্তিক এলাকার সব বাজারের পণ্য পরিস্থিতি ও মূল্য সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যাবে। ‘সম্প্রসারণ’ কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তাদের কর্মকাণ্ডের সামগ্রিক প্রতিফলন।
‘মাঠ’ অ্যাপে কৃষি আবাদ পরিস্থিতি জানা যাবে। আর ‘কৃষিবিদ্যা’ অ্যাপ ব্যবহার করে প্রতিটি ফসলের সম্পর্কে জানা যাবে।
‘সাথী’ অ্যাপ ব্যবহার করে যে কেউ সরকারের বিভিন্ন ধরনের সেবা নিজ অবস্থান থেকে সহজে গ্রহণ করতে পারবে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে এই অ্যাপ ও কেন্দ্রিয় সেবা তৈরি করেছে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের এটুআই।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী সুনামগঞ্জে ভিডিও কনফারেন্সে কথা বলেন। এছাড়া ১৩টি জেলা ও ৫০০ উপজেলা এই অনুষ্ঠানের সঙ্গে সরাসরি সংযুক্ত ছিল।
অনুষ্ঠানে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরীও বক্তব্য দেন।