সোমবার বিলটি সংসদে তোলেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বীরেন শিকদার। পরে বিলটি পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।
শেখ হাসিনা জাতীয় যুব কেন্দ্র পরিচালিত হচ্ছে ১৯৯৮ সাল থেকে। প্রাতিষ্ঠানিকিকরণের মাধ্যমে এ কেন্দ্রকে আইনের আওতায় আনতে বিলটি তোলা হয়েছে।
আইনের খসড়া অনুযায়ী, এই ইনস্টিটিউটের একটি নির্বাহী কাউন্সিল থাকবে, যার প্রধান হবেন যুব ও ক্রীড়া সচিব। এই নির্বাহী কাউন্সিলে সদস্য হিসেবে থাকবেন ১৮ জন।
যুবাদের মানব সম্পদে রূপান্তরে প্রশিক্ষণ ও কারিকুলাম প্রণয়ন; উচ্চতর গবেষণা ও মূল্যায়ন; ডিপ্লোমা ও ডিগ্রি দেওয়া; যুবাদের বিষয়ে একটি তথ্যভাণ্ডার গড়ে তোলা; প্রশক্ষণ ও যুব বিষয়ক নীতি প্রণয়ণ করার দায়িত্ব থাকবে এই ইনস্টিটিউটের ওপর।
ইনস্টিটিউট অ্যাকাডেমিক ডিগ্রি, ডিপ্লোমা, সনদ বা উপাধি দিতে পারবে। সরকারের অনুমোদন নিয়ে ইউজিসির সুপারিশ, পরামর্শ ও নির্ধারিত পদ্ধতি অনুযায়ী এসব ডিগ্রি দিতে হবে।
বিভিন্ন ধরনের কোর্স পরিচালনার জন্য এ প্রতিষ্ঠানে একটি অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল থাকবে, যার প্রধান হবেন ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক।
বিলটির উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কে প্রতিমন্ত্রী বীরেন শিকদার বলেন, ‘শেখ হাসিনা জাতীয় যুব কেন্দ্রকে’ ‘শেখ হাসিনা যুব উন্নয়ন ইনস্টিটিউট’ এ রূপান্তর করার জন্য এবং দেশের যুবসমাজের জন্য একটি আধুনিক ও মানসম্পন্ন গবেষণা, উচ্চ শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলাই এ আইন প্রণয়নের লক্ষ্য।