এর মধ্যে প্রাথমিকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ লাখ ৬২ হাজার ৬০৯ জন। আর ইবতেদায়ীতে ৫ হাজার ২৩ জন পূর্ণ জিপিএ পেয়েছে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার শনিবার গণভবনে এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ফলাফলের অনুলিপি হস্তান্তর করেন।
গত বছর প্রাথমিক সমাপনীতে ৯৮ দশমিক ৫১ শতাংশ ও ইবতেদায়ীতে ৯৫ দশমিক ৮৫ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছিল। প্রাথমিকে জিপিএ-৫ পেয়েছিল ২ লাখ ৮১ হাজার ৮৯৮ জন; আর ইবতেদায়ীতে ৫ হাজার ৯৪৮ জন।
এই হিসাবে এবার পঞ্চম শ্রেণির এই সমাপনী পরীক্ষায় পাসের হারের সঙ্গে সঙ্গে পূর্ণ জিপিএ পাওয়া পরীক্ষার্থীর সংখ্যাও কমেছে।
তারপরও ফলফল দেখে সন্তোষ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “পাসের হার তো ভালো।… আমাদের ছাত্রছাত্রীরা তো মেধাবী। পড়ালেখা করবে, পাশ করবে; ফেলের কোনো প্রশ্নই আসে না।”
প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী সমপানীতে এবার ৩০ লাখ ৯৬ হাজার ৭৫ জন অংশ নেয়। ১৯ থেকে ২৬ নভেম্বর বেশিরভাগ পরীক্ষার প্রশ্নই এবার পরীক্ষার আগে ফেইসবুকে পাওয়া গেছে বলে অভিযোগ আসে।
বেলা ১টায় সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এবারের প্রাথমিক সমাপনীর ফলাফলের বিস্তারিত তুলে ধরেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা ফিজার।
প্রাথমিক সমাপনী
>> পরীক্ষার্থী ছিল ২৬ লাখ ৯৬ হাজার ২১৬; তাদের মধ্যে ছাত্র ১২ লাখ ৩৯ হাজার ১৮১ জন, ছাত্রী ১৪ লাখ ৫৭ হাজার ৩৫ জন
>> পাস করেছে ২৫ লাখ ৬৬ হাজার ২৭১ জন; পাসের হার ৯৫.১৮%
>> জিপিএ-৫ পেয়েছে দুই লাখ ৬২ হাজার ৬০৯ জন
>> বাংলায় পাসের হার ৯৮.৯০%; ইংরেজিতে ৯৭.৫০%; গণিতে ৯৮.২১%; বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়ে ৯৯.৭৯%; প্রাথমিক বিজ্ঞানে ৯৯.৪৮% এবং ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষায় ৯৯.৭৪%
>> পাসের হারে শীর্ষে বরিশাল বিভাগ- ৯৬.২২%; সর্বনিম্ন পাস সিলেট বিভাগে- ৯১.৪৬%
ইবতেদায়ী সমাপনী
>> পরীক্ষার্থী ছিল ২ লাখ ৫৪ হাজার ৩৯৯ জন; এদের মধ্যে ছাত্র ১ লাখ ২৯ হাজার ৭০৩ জন, ছাত্রী ১ লাখ ২৪ হাজার ৬৯৬ জন
>> উত্তীর্ণ হয়েছে ২ লাখ ৩৬ হাজার ৪৪৪ জন; পাসের হার ৯২.৯৪%
>> জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫ হাজার ২৩ জন
>> বাংলায় পাসের হার ৯৮.৪৮%, ইংরেজিতে ৯৬.৯১% ও গণিতে ৯৮.১৫%, কুরআন ও তাজবীদ এবং আকাইদ ও ফিকহ বিষয়ে ৯৯.৩৩%; আরবিতে ৯৭.৮৪% এবং পরিবেশ পরিচিতি সমাজ ও পরিবেশ পরিচিতি বিজ্ঞানে ৯৮.৫০%
>> পাসের হারে বিভাগগুলোর মধ্যে শীর্ষে রাজশাহী- ৯৬.২৮%; সর্বনিম্ন সিলেট বিভাগে- ৮৬.৯২%
যেভাবে জানা যাবে ফল
যে কোনো মোবাইল ফোন থেকে DPE লিখে স্পেস দিয়ে থানা/উপজেলার কোড নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে ২০১৭ লিখে ১৬২২২ নম্বরে এসএমএস পাঠিয়ে ফিরতি এসএমএসে প্রাথমিক সমাপনীর ফল জানা যাবে।
আর ইবতেদায়ীর ফল পেতে EBT লিখে স্পেস দিয়ে থানা/উপজেলার কোড নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে ২০১৭ লিখে ১৬২২২ নম্বরে এসএমএস পাঠাতে হবে।
এই এসএমএস লেখার সময় সরকারি অথবা রেজিস্ট্রার্ড বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের EMIS কোড নম্বরের প্রথম পাঁচ সংখ্যা উপজেলা/থানা কোড হিসেবে ব্যবহার করতে হবে; যা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট, সংশ্লিষ্ট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস, উপজেলা/থানা শিক্ষা অফিস ও প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে জানা যাবে।
এছাড়া প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট (www.dpe.gov.bd)এবং টেলিটকের ওয়েবসাইট (http://dpe.teletalk.com.bd) থেকেও প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী সমাপনীর ফল জানা যাবে।