বুধবার বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে আয়োজিত এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন এবং উত্তরের প্যানেল মেয়র ওসমান গণি।
রাজধানীর আধুনিক গণশৌচাগারগুলো ব্যবহার করতে মুক্তিযোদ্ধাদের কোনো টাকা দিতে হবে না বলে জানান সাঈদ খোকন।
তিনি বলেন, ডিএসসিসি এলাকায় ১০০টি গণশৌচাগার নির্মাণ করা হবে। এরমধ্যে ১১টি উদ্বোধন করা হয়েছে। আরো ৩০টি উদ্বোধনের পথে।
“আপনারা যারা মুক্তিযোদ্ধা আছেন, সেখানে গিয়ে কার্ড দেখালে আপনাদের কাছ থেকে কেউ টাকা রাখবে না। আপনারা আর কতদিনই বা বাঁচবেন। আপনারা যে যা চাবেন আপনারা তাই পাবেন। আমরা চাই আপনারা স্বচ্ছন্দ জীবনযাপন করুন।”
মেয়র জানান, খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের সদস্যদের ঢাকা সিটি করপোরেশন এলাকায় ১৫০০ বর্গফুট পর্যন্ত ফ্ল্যাটের জন্য হোল্ডিং ট্যাক্স দিতে হবে না, এ বিষয়ে গত জুলাই মাসে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
তাদের দাবির সঙ্গে একমত পোষণ করে সাঈদ খোকন বলেন, জুরাইন কবরস্থানে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য জমি সংরক্ষিত রয়েছে।
“আজিমপুরে যদি প্রয়োজন হয়, সেখানেও জমি বরাদ্দ দেওয়া হবে। গ্যাস ও বিদ্যুৎ সিটি করপোরেশনের আওতায় না। তবে এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলব।”
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র ওসমান গণি।
বক্তব্য রাখেন সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) কে এম সফিউল্লাহ, মুক্তিযোদ্ধা শফিকুর রহমান, আমীর হোসেনসহ করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তারা।