ঢাকায় আকায়েদের স্ত্রী, শ্বশুর, শাশুড়িকে জিজ্ঞাসাবাদ

নিউ ইয়র্কে বাস টার্মিনালে ‘আত্মঘাতী হামলার চেষ্টাকারী’ আকায়েদ উল্লাহর স্ত্রী ও শ্বশুর-শাশুড়িকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 Dec 2017, 11:46 AM
Updated : 12 Dec 2017, 06:04 PM

মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকার জিগাতলার মনেশ্বর রোডের বাসা থেকে কাউন্টার টেররিজম ইউনিট (সিটি) ওই তিনজনকে নিয়ে যায়।

সিটির উপ কমিশনার সাইফুল ইসলাম তখন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “তিনজনকে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।”

জিজ্ঞাসাবাদ শেষে রাতে তিনজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

সাইফুল ইসলাম রাতে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আকায়েদের স্ত্রী, শ্বশুর ও শাশুড়িকে জিজ্ঞাসাবাদের পর রাত ৯টার দিকে তারা চলে যায়। তাদের কাছ থেকে আকায়েদ সম্পর্কে তথ্য নেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে তাদের আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে।”

মনেশ্বর রোডের বাড়িটিতে ছয় মাস বয়সী সন্তানকে নিয়ে বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকেন আকায়েদের স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস।

চট্টগ্রামের আকায়েদ সাত বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছেন। প্রথমে ট্যাক্সিক্যাব চালালেও ২০১৫ সালের পর থেকে তিনি একটি আবাসন কোম্পানিতে বিদ্যুৎ মিস্ত্রির কাজ করতেন বলে যুক্তরাষ্ট্রের পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

সোমবার নিউ ইয়ার্কের ম্যানহাটনে ব্যস্ততম বাস টার্মিনালে বিস্ফোরণের পর আকায়েদকে আহত অবস্থায় গ্রেপ্তার করে হাসপাতালে ভর্তি করে নিউ ইয়র্ক পুলিশ।

যুক্তরাষ্ট্রের পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, আকায়েদ তার দেহের সঙ্গে বাঁধা বিস্ফোরকের বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিলেন।

জঙ্গি গোষ্ঠী আইএস দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে আকায়েদ ওই ঘটনা ঘটিয়েছিল নিউ ইয়র্ক পুলিশের কর্মকর্তাদের দাবি।

সিটি কর্মকর্তা সাইফুল বলেন, আকায়েদের বিষয়ে খোঁজ-খবর নিতে তার স্ত্রী ও শ্বশুর-শাশুড়িকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

আকায়েদের নাম প্রকাশের পর বাংলাদেশে তার স্বজনের অবস্থান নিশ্চিত করতে পুলিশ মাঠে নামে।

সিটির এক কর্মকর্তা বলেন, তারা দুপুরের দিকে আকায়েদের শ্বশুড় বাড়ির ঠিকানা পান। ওই বাড়িতে আকায়েদের শ্বশুর জুলফিকার হায়দার, শাশুড়ি মাহফুজা আকতার ছেলে-মেয়েদের নিয়ে ভাড়া থাকেন।

জুলফিকার বসুন্ধরা সিটিতে একটি জুয়েলার্সের দোকানে এবং তার ছেলে হাফিজ মাহমুদ একই মার্কেটের একটি মোবাইল ফোনের দোকনে চাকরি করেন।

মনেশ্বর রোডের এই বাসায় জান্নাতুল ফেরদৌসের বাবা- মা ছাড়াও ভাই হাফিজ মাহমুদ জয় থাকেন।