রোববার রাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে তার অস্ত্রোপচার হয়।
এরপর সেখানেই তাকে সিসিইউতে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণীর ছেলে কারু তিতাস।
তিনি বলেন, “মায়ের যে অবস্থা, ডাক্তাররা বলছেন ৭২ ঘণ্টা না কাটলে তারা সুনির্দিষ্ট কিছু বলতে পারছেন না।
হাসপাতালের অর্থোপেডিকস বিভাগের চিকিৎসক অধ্যাপক নকুল দত্তের অধীনে তার চিকিৎসা চলছে।
গত মাসে বাসায় বাথরুমে পড়ে গোড়ালিতে চোট পান ৭০ বছর বয়সী ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী। পরে ল্যাব এইড হাসপাতালে ভর্তি হলে চিকিৎসকরা তাকে জানান, গোড়ালির একটি হাড় স্থানচ্যুত হয়েছে।
এই মুক্তিযোদ্ধা, ভাস্কর দীর্ঘদিন উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন। তার রক্তে পটাসিয়াম ও হিমোগ্লোবিন একেবারেই কম বলে জানিয়েছিলেন চিকিৎসকরা।
১৯৪৭ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি খুলনায় জন্ম ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণীর। ১৯৭১ সালে তিনি পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে নির্যাতিত হন।
স্বাধীনতা যুদ্ধে তার অবদানের জন্য ২০১৬ সালে বাংলাদেশ সরকার তাকে মুক্তিযোদ্ধা খেতাব দেয়। এর আগে ২০১০ সালে তিনি বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান স্বাধীনতা পদক পান।
২০১৪ সালে একুশের বইমেলায় তার আত্মজৈবনিক গ্রন্থ ‘নিন্দিত নন্দন’ প্রকাশিত হয়।