বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক আবদুল আজিজ ল্যাবএইড হাসপাতালে ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণীকে দেখতে যান।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে তাকে দেখতে গিয়েছিলাম। আমি তার শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নিয়েছি। কী অবস্থা তা জেনেছি। এখন এটা প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের মহাপরিচালক মহোদয়কে অবহিত করব।”
বাথরুমে পড়ে যাওয়ার পর গোড়ালিতে চোট নিয়ে বুধবার দুপুরে ল্যাবএইড হাসপাতালে যান ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী। অর্থোপেডিকস বিভাগে তার চিকিৎসা চলাকালীন তিনি দুই দফায় সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়েন। এরপর তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
৭০ বছর বয়সী এই মুক্তিযোদ্ধা, ভাস্কর দীর্ঘদিন থেকে উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন। তার রক্তে পটাসিয়াম ও হিমোগ্লোবিন একেবারেই কম বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। তিনি কিডনির জটিলতায়ও ভুগছেন।
১৯৪৭ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি খুলনায় জন্ম ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণীর। ১৯৭১ সালে তিনি পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে নির্যাতিত হন।
স্বাধীনতা যুদ্ধে তার অবদানের জন্য ২০১৬ সালে বাংলাদেশ সরকার তাকে মুক্তিযোদ্ধা খেতাব দেয়। এর আগে ২০১০ সালে তিনি বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান স্বাধীনতা পদক পান।
২০১৪ সালে একুশের বইমেলায় তার আত্মজৈবনিক গ্রন্থ ‘নিন্দিত নন্দন’ প্রকাশিত হয়।