শুক্রবার বেইজিংয়ে তাদের এই সাক্ষাৎ হয় বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন হ্লাইং।
“বৈঠকে দুই দেশের সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধি, রাখাইন ইস্যু নিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে চীনের মিয়ানমারের পক্ষে দাঁড়ানোসহ অন্যান্য বিষয়ে আলোচনা হয়েছে,” ফেইসবুকে পোস্ট করা বিবৃতিতে লিখেছেন তিনি।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স লিখেছে, মঙ্গলবার চীন সফরে যান মিয়ানমারের সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লাইং। এই কয় দিন মুখ্যত চীনের সামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি।
গত অগাস্টের শেষ দিকে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা নিধন শুরু হওয়ার পর আন্তর্জাতিক মহলে সমালোচনা শুরু হলে তখন থেকেই মিয়ানমারকে সমর্থন দিয়ে আসছে চীন।
এই সংকট নিয়ে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে একটি প্রস্তাব উঠলে তা আটকে দেয় চীন।
মিয়ানমারের ঘনিষ্ঠ মিত্র চীনই দেশটির সেনাবাহিনীর সবচেয়ে বড় অস্ত্র সরবরাহকারী। দেশটিতে বিপুল বিনিয়োগ রয়েছে চীনের।
এছাড়া যুক্তরাজ্য, ফ্রান্সসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশ এবং জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা এই বিষয়ে সোচ্চার রয়েছে। রোহিঙ্গাদের উপর নির্যাতন-নিপীড়নকে ‘জাতিগত নিধনের’ চেষ্টা হিসেবে চিহ্নিত করেছে জাতিসংঘ।
এই প্রেক্ষাপটে গত সপ্তাহে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই ঢাকা সফরে এসে মিয়ানমার ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয়ভাবে এই সমস্যা সমাধানের কথা বলেন।
দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় সহযোগিতার প্রস্তাব দিয়ে তিনি বলেন, এখানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সম্পৃক্ততা পরিস্থিতি জটিল করবে বলে তারা মনে করেন।
এরপর আসেম সম্মেলনে অংশ নিতে মিয়ানমার যান বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। তার এই সফরেই বৃহস্পতিবার দুই দেশের মধ্যে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরুর বিষয়ে একটি সম্মতিপত্র সই হয়েছে।