১০ নারীর তিনজন তামাকসেবী

বাংলাদেশের প্রতি ১০ জন নারীর তিনজন কোনো না কোনোভাবে তামাক সেবন করেন বলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন।

সংসদ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 Nov 2017, 01:25 PM
Updated : 23 Nov 2017, 03:00 PM

বৃহস্পতিবার সংসদ অধিবেশনে এক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের পক্ষে প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক এ তথ্য জানান।

গ্লোবাল অ্যাডাল্ট টোবাকো সার্ভে-২০০৯ এর উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, দেশের প্রতি ১০ জন নারীর তিনজন কোনো না কোনোভাবে তামাক ব্যবহার করেন। অর্থাৎ ২৮ দশমিক ৭ শতাংশ নারীই ধোঁয়াযুক্ত ও ধোঁয়াবিহীন নানা ধরনের তামাক ব্যবহার করে থাকেন।

যুক্তরাষ্ট্রের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণার বরাত দিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশে তামাক ব্যবহারের কারণে প্রতি বছর ৯৭ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়।

তামাক ব্যবহারের প্রত্যক্ষ ফল হিসেবে আটটি রোগ হয়। এগুলো হলো- হৃদরোগ, ফুসফুসে ক্যান্সার, স্ট্রোক, মুখের ক্যান্সার, শ্বাস ও খাদ্যনালীর ক্যান্সার, ফুসফুসের শ্বাসতন্ত্রের বাধাজনিত রোগ, ফুসফুসের যক্ষ্মা ও বর্জারস ডিজিজ।

সংসদ অধিবেশন

প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে তামাকমুক্ত করার লক্ষ্যে সরকারের বিভিন্ন সংস্থা কাজ করে যাচ্ছে বলে জানান মন্ত্রী।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ট্যানারির বিষাক্ত বর্জ্য দিয়ে তৈরি পোল্ট্রি ও ফিশ ফিড দেশে ক্যান্সারসহ অনেক জটিল রোগের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে।

“এ বিষয়ে স্বাস্থ্য শিক্ষা ব্যুরো বিভিন্ন প্রচারণার মাধ্যমে সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করছে।”

রোহিঙ্গাদের মধ্যে ৮৩ জন এইচআইভি আক্রান্ত

প্রশ্নোত্তরে মন্ত্রী জানান, মিয়ানমার থেকে নিপীড়নের মুখে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের মধ্যে ৮৩ জন এইচআইভি আক্রান্ত পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে ২৯ জন পুরুষ, ৪১ জন মহিলা, সাতজন ছেলে শিশু ও ছয়জন মেয়ে শিশু।

তিনি বলেন, “এইচআইভি শনাক্তকরণসহ চিকিৎসা ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ ও সরকারের সময়োপযোগী পদক্ষেপের ফলে এ বিষয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই।”

সরকারি হিসাবে বাংলাদেশে এ পর্যন্ত চার হাজার ১৪৩ জনের মধ‌্যে এইচআইভি সংক্রমণের তথ‌্য পাওয়ার কথা এই বছরই জানিয়েছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। তাদের মধ্যে ৬৫৮ জনের মৃ‌ত‌্যু ঘটে।

চার বছরে সরকারি খরচে হজ করেছেন ৯৯৯ জন

চার বছরে সরকারি খরচে ৯৯৯ জন হ্জ করেছেন বলে ধর্মমন্ত্রী মতিউর রহমান জানিয়েছেন।

প্রশ্নোত্তরে তিনি বলেন, সরকারি খরচে ২০১৪ সালে ১২৫ জন, ২০১৫ সালে ২৬৬ জন, ২০১৬ সালে ২৮৮ জন ও ২০১৭ সালে ৩২০ জন হ্জ পালন করেছেন।

ধর্মমন্ত্রী বলেন, ২০১৭ সালে সরকারি ব্যবস্থাপনায় চার হাজার ১৯৫ জন, বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এক লাখ ২১ হাজার ২২৯ জন এবং হজ ব্যবস্থাপনার কাজে এক হাজার ২৭০ জন হজ করতে সৌদি আরব যান।

তবে ভিসা ইস্যুর পরও ৩৬৭ জন হজ পালন করতে পারেননি বলে জানান তিনি।

মন্ত্রী বলেন, যেসব এজেন্সির বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ উঠছে তা শুনানি করে সুপারিশসহ প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির পরবর্তী কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।