এটা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীই শুধু নয়, এটা বাংলাদেশে ইন্টারনেট সংবাদপত্রের যাত্রা শুরুর দিন, বাংলাদেশে কোনো বার্তা কক্ষের ২৪ ঘণ্টা সচল থাকার শুরুর দিন।
সোমবার মহাখালীতে সংবাদপত্রটির কার্যালয়ে সব পর্যায়ের কর্মীদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনের ঘরোয়া আয়োজনে সঙ্গী ছিলেন কলামনিস্ট-শুভানুধ্যায়ীদের অনেকে।
২০০৬ সালের ২৩ অক্টোবর বাংলাদেশের প্রথম ইন্টারনেট সংবাদপত্র হিসেবে যাত্রা শুরু করে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম; পরিসর বিস্তৃত করে যা এখন বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ ও সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য সংবাদ প্রকাশক।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনের ক্ষণেও নির্ভরযোগ্য সংবাদ পরিবেশনের উপরই জোর দেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রধান সম্পাদক তৌফিক ইমরোজ খালিদী, যা নিয়ে গর্ব করেন প্রতিষ্ঠানটির সংবাদকর্মীরা।
তিনি বলেন, খবর প্রকাশের ক্ষেত্রে সবার চেয়ে এগিয়ে থাকতে হবে। তবে তার চেয়ে বেশি যেটা জরুরি, তা হলো সব সময় নির্ভুল থাকতে হবে।
“আমি সব সময় সহকর্মীদের বলি, দ্বিতীয় কিংবা তৃতীয় হলেও ক্ষতি নেই, কিন্তু কখনও ভুল করা চলবে না।”
সংবাদ প্রকাশকদের জন্য পাঠকের আস্থাই সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম প্রধান সম্পাদক।
কোটি পাঠক, দর্শক, শ্রোতার আস্থা ধরে রাখার জন্য বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের সংবাদকর্মীরা পেরিয়ে আসা বছরগুলোতে ‘অসাধারণ কাজ’ দেখিয়েছেন বলে মন্তব্য করেন তিনি।
“আমাদের দেখানো পথ ধরে, আমাদের বিজনেস মডেল অনুসরণ করে এখন শত শত সংবাদ মাধ্যম হয়েছে, এটাও আমাদের গর্বের বিষয়,” বলেন তৌফিক ইমরোজ খালিদী।
এই ‘গর্ব’ নিয়েই প্রতিষ্ঠানের কার্যালয়ে দুই মুক্তিযোদ্ধাকে নিয়ে কেক কেটে পথচলার ১১ বছর উদযাপন করেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের সব পর্যায়ের কর্মীরা।
একাত্তরের দুই গেরিলা যোদ্ধা মকবুল এলাহী চৌধুরী মশগুল ও শামসুল আলম খানের পাশাপাশি কেক কাটার সময় উপস্থিত ছিলেন খ্যাতিমান চিত্রশিল্পী মনিরুল ইসলাম।
প্রবীণ তিন নারী সাংবাদিক নাসিমুন আরা হক মিনু, দিল মনোয়ারা মনু, পারভীন সুলতানা ঝুমা ছিলেন অনুষ্ঠানে।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দিনের সংক্ষিপ্ত আয়োজনের পর আগামী শনিবার আরেকটি অনুষ্ঠান করবে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম; সংবাদ তৈরি হয় যাদের নিয়ে, তারাও থাকবেন ওই অনুষ্ঠানে।
যে কর্মীরা কাজের সূত্রে মহাখালীর কার্যালয়টিকে নিজেদের ‘দ্বিতীয় বাড়ি’ বানিয়ে নিয়েছেন, তাদের ‘প্রথম বাড়ি’ অর্থাৎ পরিবারের সদস্যরাও ওই উদযাপনে সঙ্গী হবেন।
বর্তমানে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের ২৪ ঘণ্টা সচল বার্তা কক্ষের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্তদের পাশাপাশি সারা বাংলাদেশে এবং বিদেশের প্রধান প্রধান শহরগুলো মিলিয়ে ৫০০ শতাধিক সংবাদকর্মী রয়েছেন।
‘বিডিনিউজ’ নামে প্রতিষ্ঠানটির জন্ম ২০০৫ সালে, বার্তা সংস্থা রূপে। ২০০৬ সালে এর মালিকানা ও ব্যবস্থাপনা বদলের পর তা খোল-নলচে বদলে যায়।
বিবিসির সাবেক সাংবাদিক তৌফিক ইমরোজ খালিদীর নেতৃত্বে নতুন ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠানটিকে দেশের প্রথম ডটকম কোম্পানির রূপ দেয়। নতুন আঙ্গিকে এর পরিচয় হয় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম নামে।
বাংলাদেশে অনেক প্রথমের জন্ম এই বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমেরই হাত ধরে।
দ্বিভাষিক এই সংবাদপত্রটি বাংলাদেশে এমনকি বাংলা ভাষায়ও প্রথম। শিশুদের জন্য প্রথম বাংলা ভাষার ওয়েবসাইট, শিশু সাংবাদিকদের প্রথম ওয়েবসাইটের পথ চলা শুরুও এর মাধ্যমে। প্রথম বাংলা মোবাইল এসএমএস বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমেরই অবদান।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের এখন ইউনিক ভিজিটর সংখ্যা এক কোটির বেশি;প্রতি মাসে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম ওয়েবসাইটের ১০ কোটি পাতা খোলা হয়।
ফেইসবুকে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে অনুসরণ করেন ৮৫ লাখ মানুষ, টুইটারেও সক্রিয় রয়েছে ইন্টারনেট সংবাদপত্রটি।