রায় নিয়ে বঙ্গভবনে আলোচনা

বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর আলোচনায় সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায়ও এসেছে, যে আলোচনায় আইনমন্ত্রী, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তাও উপস্থিত ছিলেন।

কাজী মোবারক হোসেন নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 August 2017, 02:38 PM
Updated : 16 August 2017, 07:23 PM

সর্বোচ্চ আদালতের ওই রায় নিয়ে তুমুল আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে বুধবার সন্ধ্যায় সরকার প্রধান শেখ হাসিনা বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপ্রধান মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে যান।

সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বঙ্গভবনে ঢোকেন শেখ হাসিনা। তার আগেই উপস্থিত হন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এবং অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

প্রধানমন্ত্রীর পর বঙ্গভবনে আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে ঢুকতে দেখা যায়।

এই রায় নিয়ে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে বৈঠকের একদিন পর গত সোমবার বঙ্গভবনে গিয়ে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করে এসেছিলেন ওবায়দুল কাদের।

রায় নিয়ে আওয়ামী লীগের ‘প্রকৃত’ অবস্থান জানাতে তিনি সেদিন রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাত করেন বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন।

বুধবার রাত সোয়া ১০টার দিকে বঙ্গভবন থেকে বেরিয়ে আসার পর ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের প্রশ্নে প্রথমেই বলেন, উত্তরাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি এবং ১৫ অগাস্ট বঙ্গবন্ধু ভবনে জঙ্গি হামলার চক্রান্ত নিয়ে আলোচনা করেন তারা।

ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় নিয়ে আলোচনা হয়নি- সাংবাদিকদের এই প্রশ্নে তিনি বলেন, “রায়ের বিষয়েও আলোচনা হয়েছে, আমরা কথা বলেছি।”

রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকার প্রধানের এই আলোচনায় কোনো সিদ্ধান্ত হয়েছে কি না- জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, “কোনো সিদ্ধান্তে আমরা পৌঁতে পারিনি। আলোচনা আরও হবে।”

রাষ্ট্রপতি কোনো পরামর্শ দিয়েছেন কি না- প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “সেটা তো বলা যাবে না।”

বঙ্গভবন (ছবি: আব্দুল মান্নান)

ওবায়দুল কাদের বেরিয়ে আসার আগে পৌনে ১০টার দিকে প্রধানমন্ত্রীর গাড়িবহর বঙ্গভবন ছাড়ে।

ওবায়দুল কাদের বেরিয়ে আসার পরপরই আইনমন্ত্রী ও অ্যাটর্নি জেনারেল বেরিয়ে আসেন। তবে তারা সাংবাদিকদের এড়িয়ে যান।

উচ্চ আদালতের বিচারকদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতে ফিরিয়ে নিতে সংবিধানের ৯৬ অনুচ্ছেদের যে পরিবর্তন ষোড়শ সংশোধনীতে আনা হয়েছিল, তা অবৈধ ঘোষণা করে দেওয়া রায় গত ১ অগাস্ট প্রকাশ করে সুপ্রিম কোর্ট।

ওই রায়ের পর্যবেক্ষণে প্রধান বিচারপতি দেশের রাজনীতি, সামরিক শাসন, নির্বাচন কমিশন, দুর্নীতি, সুশাসন ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতাসহ বিভিন্ন বিষয়ে পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেন।

তাতে ‘বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটাক্ষ ও অবমূল্যায়ন করা হয়েছে’ অভিযোগ তুলে রায়ে সংক্ষুব্ধ সরকারি দল কড়া সমালোচনা করছে।

জিয়াউর রহমান আমলে প্রতিষ্ঠিত সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল ফিরিয়ে আনার এই রায়কে ‘ঐতিহাসিক’ বলছে বিএনপি।

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম রায়ের পর্যবেক্ষণের ‘আপত্তিকর’ মন্তব্য ‘এক্সপাঞ্জ’ (বাদ) দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়ার কথা বলেছেন।

এই সংক্রান্ত আরও খবর