যুক্তরাজ্যে বসবাসরত চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার ছেলে সুদর্শন গত বৃহস্পতিবার গিনেস কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে রেকর্ডের সনদ পেয়েছেন।
পূর্ব লন্ডনের মেনর পার্ক এলাকার শিভা মুনেতা সঙ্গম হলে গত ২০ জুন সন্ধ্যা ৭টা থেকে পরের দিন রাত ১০টা পর্যন্ত টানা ঢোল বাজান তিনি।
পুরো ২৭ ঘণ্টার অনুষ্ঠান ভিডিও ক্যামেরায় ধারণ করে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়।
তারা ভিডিও রেকর্ডিংস ও লগ ফাইল দেখে খুটিনাটি পরীক্ষা করে এই বিশ্ব রেকর্ডসের স্বীকৃতি দেয়।
সুদর্শন দাশ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বাংলাদেশের ছেলে হিসাবে তিনি গর্বিত। তার এই সফলতা দেশের মুখ উজ্জ্বল করবে। তিনি সব সময় চ্যালেঞ্জ নিতে ভালবাসেন।
সুদর্শন বলেন, তিনি ২৭ ঘণ্টা ধরে ২৫টি সুরের তালে ঢোল বাজান। প্রতিটি সুর, গান, মিউজিক ও টাইর্র্মিং সব কিছু মিলিয়ে দেখে নিশ্চিত হয়ে তাকে সনদ দেয় গিনেস কর্তৃপক্ষ। তাদের ওয়েবসাইটেও তার এই সাফল্য তুলে ধরেছে।
সুদর্শনের ২৭ ঘণ্টার ভিডিও ধারণকারী আব্দুল হান্নান বলেন, দুটি ক্যামেরায় প্রতিটি মুহূর্ত ধারণ করে একটি লগ ফাইল রাখতে হয়েছে। ঘণ্টায় তার ৫ মিনিট করে বিরতি নেওয়ার অনুমতি ছিল। এই বিরতির সময়টুকুও তাকে ক্যামেরাবন্দী করেছেন তারা।
এরপর আইন পড়তে লন্ডন গেলেও তবলার নেশা তাকে ছাড়েনি। ২০০৪ সালে নিউহ্যাম এলাকায় ‘তবলা অ্যান্ড ঢোল একাডেমি’ প্রতিষ্ঠা করেন সুদর্শন।
২০১১ সালে তার ‘লার্ন টু প্লে তবলা’ ডিভিডি আকারে প্রকাশিত হয়। দুই বছর পর বাজারে আসে ‘লার্ন টু প্লে তবলা উইথ মিউজিক’।
লন্ডন বারা অব নিউহ্যামের শিক্ষক সুদর্শন এর আগে টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলে মিউজিক ইন্সপেক্টর হিসেবেও কাজ করেছেন। বাজিয়েছেন রয়েল অ্যা লবার্ট ও বারবিকান হলে; ঝুলিতে আছে জনপ্রিয় ব্যান্ড দল ওটুর সঙ্গে তবলায় বোল তোলার স্মৃতি।