নোয়াব নাম দিলেই ওয়েজবোর্ড গঠন: তথ্য মন্ত্রণালয়

নিউজপেপারস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব) তাদের প্রতিনিধি মনোনয়ন দিলেই সাংবাদিকদের জন্য নবম ওয়েজ বোর্ড গঠন করা হবে জানিয়েছে সরকার।

নতুন বেতন বোর্ড গঠন এ মাসে করা না হলে তথ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবিতে আন্দোলন শুরুর হুমকি সাংবাদিক ইউনিয়নগুলোর নেতারা দেওয়ার পরদিন বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তথ্য মন্ত্রণালয় একথা জানায়।

এতে বলা হয়, “নোয়াব অচিরেই তাদের প্রতিনিধি মনোনয়ন দেবে বলে জানিয়েছে। নোয়াব-এর প্রতিনিধির নাম পাওয়া মাত্রই নবম ওয়েজবোর্ড গঠন প্রক্রিয়া সম্পন্ন ও কার্যকর হবে।”

২০১৫ সালে সরকারি কর্মচারীদের নতুন বেতন কাঠামো ঘোষণার পর থেকে নতুন বেতন কাঠামোর দাবি জানিয়ে আসছে সাংবাদিকদের সংগঠনগুলো। এই দাবিতে দীর্ঘ দিন ধরে ধারাবাহিক কর্মসূচি পালন করছে তারা।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নবম ওয়েজবোর্ড গঠনের বিষয়ে শুরু থেকেই ‘ইতিবাচক ভূমিকা’ নিয়ে বোর্ড গঠনের প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন করেছে তথ্য মন্ত্রণালয়।

“গত বছরের অক্টোবর থেকে নবম ওয়েজবোর্ড গঠনের সিদ্ধান্ত মোতাবেক অংশীজনদের সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠক করে ওয়েজবোর্ডের চেয়ারম্যান ও বোর্ড গঠনের জন্য সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর কাছে প্রতিনিধি মনোনয়ন চাওয়া হয়।”

আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মো. নিজামুল হককে বোর্ডের চেয়ারম্যান নিয়োগে আইন মন্ত্রণালয় প্রস্তাব দিয়েছে জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন, বাংলাদেশ ফেডারেল ইউনিয়ন অব নিউজপেপার প্রেস ওয়ার্কার্স এবং বাংলাদেশ সংবাদপত্র কর্মচারী ফেডারেশনও প্রস্তাবিত প্রতিনিধিদের নাম দিয়েছে।

“নোয়াবও অচিরেই তাদের প্রতিনিধি মনোনয়ন দেবে বলে জানিয়েছে। নোয়াব-এর প্রতিনিধির নাম পাওয়া মাত্রই নবম ওয়েজবোর্ড গঠন প্রক্রিয়া সম্পন্ন ও কার্যকর হবে।”

সর্বশেষ ২০১২ সালে সংবাদপত্রের কর্মীদের জন্য অষ্টম রোয়েদাদ বোর্ড গঠন করা হয়েছিল। এর পরের বছর বোর্ড নতুন বেতন কাঠামো চূড়ান্ত করে।

নবম ওয়েজ বোর্ড গঠনের দাবিতে গত মার্চ মাসে প্রধানমন্ত্রীকেও স্মারকলিপি দেয় বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)।

কর্মসূচি ‘চলবে’

তথ্য মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তির পর আন্দোলন কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন সাংবাদিক ইউনিয়ন নেতারা।

আগামী ২৯ জুলাইয়ের মধ্যে ওয়েজবোর্ড ঘোষণা না হলে আরও কঠোর হওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন বিএফইউজে সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল ও মহাসচিব ওমর ফারুক এবং ডিইউজে সভাপতি শাবান মাহমুদ ও সাধারণ সম্পাদক সোহেল হায়দার।

তাদের যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, “কোনো ব্যক্তি বিশেষের ইচ্ছা-অনিচ্ছার কারণে সাংবাদিক সমাজ বছরের পর বছর বঞ্চিত হবে, তা হতে পারে না। তথ্য মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে যা বলা হয়েছে, তা নতুন কিছু নয়।

“সুতরাং ৩০ জুলাইয়ের কর্মসূচি বহাল থাকবে এবং ২৯ জুলাইয়ের মধ্যে ওয়েজবোর্ড ঘোষণা না করা হলে আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।”

আগামী ৩০ জুলাই তথ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে কর্মসূচি পালনের ঘোষণা মঙ্গলবারের সমাবেশে দিয়েছিলেন বিএফইউজে ও ডিইউজে নেতারা।

জুলাইয়ে ৯ম ওয়েজ বোর্ড না হলে তথ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি