বিচারপতি মো. মিফতাহ্ উদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি এ এন এম বসির উল্লাহর বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এক বছর ধরে কারাবন্দি এই বিএনপি নেতাকে জামিন দেয়।
জামিন আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল আবেদন দাখিল করছেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট আদালতে দায়িত্বরত ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম মনিরুজ্জামান কবীর।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আগামী রোববার এ আবেদনের ওপর আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতির আদালতে শুনানি হতে পারে।”
ইসরায়েলের ক্ষমতাসীন লিকুদ পার্টির নেতা মেন্দি এন সাফাদির সঙ্গে বৈঠকের একাধিক ছবি গণমাধ্যমে আসার পর গত বছরের ১৫ মে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এরপর তার বিরুদ্ধে ২৫ মে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে মামলা করে পুলিশ। এতে অবৈধভাবে সরকারকে উৎখাতের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনা হয়।
এ মামলায় তিনি হাই কোর্টে জামিন আবেদন করলে আদালত গত বছরের ৫ ডিসেম্বর রুল জারি করে। রুলে কেন তাকে নিয়মিত (স্থায়ী) জামিন দেওয়া হবে না, তা সরকারসহ সংশ্লিষ্টদের কাছে জানতে চাওয়া হয়।
এ রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার হাই কোর্ট আসলামকে নিয়মিত (স্থায়ী) জামিন দেয়।
আদালতে আসলামের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এএম মাহবুবউদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার সাকিব মাহবুব ও ব্যারিস্টার সানজিদ সিদ্দিকী।
চট্টগ্রামের নেতা আসলামের বিরুদ্ধে নাশকতাসহ নানা অভিযোগে আরও মামলা থাকলেও সেগুলোতে জামিন হয়েছে বলে জানান তার আইনজীবীরা।
মাহবুবউদ্দিন খোকন সাংবাদিকদের বলেন, “আসলাম চৌধুরীর মুক্তিতে এখন আর কোনো বাধা নেই।”
আসলামকে গ্রেপ্তারে পর রিমান্ডে নিয়ে পুলিশ প্রধান একেএম শহীদুল হক সাংবাদিকদের বলেছিলেন, মেন্দি এন সাফাদির সঙ্গে ‘চুক্তি করার কথা’ আসলাম পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে ‘স্বীকার করেছেন’।
তিনি বলেন, ইসরায়েলের সেই রাজনৈতিক নেতার সঙ্গে দেশটির গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের ‘সম্পর্ক আছে’। আর তার সঙ্গে আসলাম চৌধুরী ‘একাধিক মিটিং’ করেছেন ভারতে।
“জিজ্ঞাসাবাদে সে যেসব তথ্য উপাত্ত দিয়েছে, তাতে স্পষ্ট প্রতিয়মান হয়েছে, সে রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডে সস্পৃক্ত ছিল।”
মেন্দির সঙ্গে ছবির সত্যতা স্বীকার করলেও আসলাম বলেছেন, ভারতে ‘ব্যক্তিগত’ ওই সফরে তার সঙ্গে অনেকেরই দেখা হয়। কারও সঙ্গে তার কোনো বৈঠক হয়নি।
বিএনপিও এই মামলার অভিযোগটি ‘অবিশ্বাস্য’ বলে উড়িয়ে দেয়।