মৌলভীবাজার শহরের বড়হাটে তিন দিন ধরে ঘিরে রাখা জঙ্গি আস্তানায় চলছে সোয়াটের ‘অপারেশন মেক্সিমাস’।
Published : 31 Mar 2017, 09:16 AM
সেখানে উপস্থিত একজন পুলিশ কর্মকর্তা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে সোয়াট ও বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দলের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছান।
এরপর পৌনে ১০টার দিকে তাদের চূড়ান্ত অভিযান ‘অপারেশন মেক্সিমাস’ শুরু হয় বলে পুলিশের সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি কামরুল আহসান জানান।
রাতে বড়হাট আবুশাহ দাখিল মাদ্রাসার গলিতে দোতলা ওই বাড়ির বিভিন্ন দিকে রেকি করে অভিযানের পরিকল্পনা চূড়ান্ত করা হয়। ভোর থেকে পুলিশ ও র্যাব সদস্যদেরও তৎপর দেখা যায়।
আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ঘেরাওয়ের মধ্যে রাতে ওই বাড়ির দিক থেকে থেমে থেমে গুলির শব্দ আসে। এরপর সকাল সাড়ে ৬টা থেকে সাড়ে ৭টার মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ গুলি চলে।
ওই জঙ্গি আস্তানার আশপাশের এলাকায় গত বুধবার থেকেই ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। বন্ধ রয়েছে গ্যাস ও বিদ্যুৎ।
সোয়াট সদস্যরা আসার আগে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম এবং পুলিশের সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি কামরুল আহসানও ঘটনাস্থলে পৌঁছান।
বড়হাটের এই বাড়িটির সঙ্গে সদর উপজেলার খলিলপুর ইউনিয়নের নাসিরপুরে একতলা টিনশেড বাড়ি গত বুধবার ভোরে জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে ঘিরে ফেলে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট। সোয়াট সদস্যরা পৌঁছানোর পর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নাসিরপুরের জঙ্গি আস্তানায় শুরু হয় ‘অপারেশন হিট ব্যাক’।
সেই অভিযান শেষে বৃহস্পতিবার বিকালে এক ব্রিফিংয়ে কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম জানান, বাড়ির ভেতরে সাত থেকে আটজনের ছিন্নভিন্ন দেহ পেয়েছেন তারা।
মনিরুলের ধারণা, নিহতরা নব্য জেএমবির সদস্য এবং তাদের মৃত্যু হয়েছে আত্মঘাতী বিস্ফোরণে।