ব্রিটিশ হাই কমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলা চালিয়ে তিনজনকে হত্যার মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি দেলোয়ার হোসেন ওরফে রিপন রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার লিখিত আবেদন করেছেন।
Published : 27 Mar 2017, 01:30 PM
হরকাতুল জিহাদের এই জঙ্গিকে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হয়েছে। সর্বোচ্চ সাজার রায় বহাল থাকায় রাষ্ট্রপতির কৃপাই তার প্রাণ বাঁচানোর শেষ সুযোগ।
সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের জ্যেষ্ঠ কারা তত্ত্বাবধায়ক মো. ছগির মিয়া বলেন, “সোমবার বেলা ১২টার দিকে রিপন প্রাণভিক্ষার লিখিত আবেদন করেছেন। আমরা তা পাঠিয়ে দিয়েছি।”
আপিল বিভাগে রিভিউ খারিজের রায় এবং বিচারিক আদালতের পরোয়ানা পড়ে শোনানো হলে রিপন প্রাণভিক্ষা চাইবেন বলে বৃহস্পতিবারই কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছিলেন।
কারাবন্দিদের ক্ষমার আবেদন কারা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হয়ে যায় আইন মন্ত্রণালয়ে। আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত নিয়ে তা রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ে যায়।
এ মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অপর দুই আসামি হরকাতুল জিহাদের শীর্ষ নেতা মুফতি আব্দুল হান্নান ও শরীফ শাহেদুল আলম ওরফে বিপুল আছেন গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে। তারাও প্রাণভিক্ষা চাইবেন বলে কারা কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন।
সিলেটে হযরত শাহজালালের মাজার প্রাঙ্গণে ২০০৪ সালের ২১ মে ব্রিটিশ হাই কমিশনার আনোয়ার চৌধুরী গ্রেনেড হামলার মুখে পড়েন। এতে ঘটনাস্থলেই পুলিশের এএসআই কামাল উদ্দিন নিহত হন।
এছাড়া পুলিশ কনস্টেবল রুবেল আহমেদ ও হাবিল মিয়া নামের আরেক ব্যক্তি মারা যান হাসপাতালে। আনোয়ার চৌধুরী ও সিলেটের জেলা প্রশাসকসহ অন্তত ৪০ জন ওই ঘটনায় আহত হন।
ওই ঘটনায় করা মামলার চূড়ান্ত রায়ে আপিল বিভাগ গত বছরের ৭ ডিসেম্বর তিন আসামির সর্বোচ্চ সাজার রায় বহাল রাখে।
এ মামলায় যাবজ্জীবন দণ্ডিত দুই আসামি মহিবুল্লাহ ও আবু জান্দালকে হাই কোর্ট যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছিল। আপিল না করায় তাদের ওই সাজাই বহাল থাকে।
আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত তিন আসামি রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন করেন। তাদের আবেদন গত ১৯ মার্চ সর্বোচ্চ আদালতে খারিজ হয়ে যায়। ফলে চূড়ান্ত বিচারেও ফাঁসির রায় বহাল থাকে।
প্রাণভিক্ষার আবেদন প্রত্যাখ্যাত হলে সরকার কারাবিধি অনুযায়ী তাদের দণ্ড কার্যকর করবে।
সরকারের নির্দেশনা পেলে দণ্ড কার্যকরের সব প্রস্তুতি রয়েছে বলে কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন ইতোমধ্যে জানিয়েছেন।