সোমবার একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে ২০১৬ সালের পুরস্কারের জন্য মনোনীতদের নাম ঘোষণা করেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান।
পুরস্কারের জন্য মনোনীত অন্যরা হলেন প্রবন্ধ ও গবেষণায় মোরশেদ শফিউল হাসান, অনুবাদে নিয়াজ জামান, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক সাহিত্যে এম এ হাসান, আত্মজীবনী-স্মৃতিকথায় নুরজাহান বোস, শিশু সাহিত্যে রাশেদ রউফ।
পুরস্কারপ্রাপ্তরা এক লাখ টাকা ও একটি ক্রেস্ট পাবেন।
আগামী ১ ফেব্রুয়ারি অমর একুশের গ্রন্থমেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুরস্কারজয়ী লেখকদের হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে পুরস্কার তুলে দেবেন।
শামসুজ্জামান খান জানান, নাটক ও বিজ্ঞানবিষয়ক লেখায় ‘উপযুক্ত’ কাউকে পাওয়া যায়নি।
মেলার স্টল বরাদ্দে ‘ডিজিটাল লটারি’
একুশের বইমেলায় প্রকাশকরা কে কোথায় স্টল বা প্যাভিলিয়ন পাচ্ছেন, তা নির্ধারণে এবার প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হল ‘ডিজিটালি লটারি’।
এবারের মেলায় ১ ইউনিট পেয়েছে ১৪২ প্রতিষ্ঠান, ২ ইউনিট পেয়েছে ১১৪টি, ৩ ইউনিট পেয়েছে ৩১টি, ৪ ইউনিট পেয়েছে ১৯টি প্রতিষ্ঠান। ১৩টি প্রতিষ্ঠান পেয়েছে প্যাভিলিয়ন।
এবারের মেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে খাবারের দোকানের পাশাপাশি আরেকটি সংযোজন হতে যাচ্ছে। শিশুদের মাতৃদুগ্ধ পানের আলাদা একটি স্টল থাকছে। এই উদ্যোগ মেলায় এবারই প্রথম।
মেলার আয়োজক কর্তৃপক্ষ বাংলা একাডেমি এবার গুরুত্ব দিচ্ছে নান্দনিক সৌন্দর্যকে দিকে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের নানা অংশে বিভিন্ন ধরনের গাছ লাগানো হবে। রাতের বেলা সাজানো হবে নানা রংয়ের বাতি দিয়ে। প্রত্যেকটি চত্বরে থাকবে বোর্ড। সেই বোর্ডে লেখা থাকবে এই চত্বরে কোন কোন প্রকাশনা সংস্থা রয়েছে। পাশপাশি বসে বিশ্রাম নেয়ার জন্য সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের অংশে ১০টির বেশি বসার স্থান থাকবে।
মেলা পরিচালনা কমিটির সদস্য-সচিব জালাল আহমেদ বলেন, “ একটি পরিকল্পিত এবং সুন্দর মেলা উপহার দেয়ার প্রাণান্তর চেষ্টায় নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছি আমরা। সবকিছু মিলিয়ে এবারের মেলা ভিন্নরকম হবে এটা বলতে পারি।”