বিসিএসে আলাদা ক্যাডার চাইছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কর্মকর্তারা; একইসঙ্গে বিভিন্ন পর্যায়ের পদের মর্যাদা বাড়ানো ও যোগ্য কর্মকর্তাদের পদোন্নতিসহ বেশ কয়েকটি দাবি-দাওয়া প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে তুলে ধরেছেন তারা।
Published : 24 Sep 2016, 12:01 AM
শুক্রবার রাজধানীর ফার্মগেটে কেআইবি কমপ্লেক্স মিলনায়তনে বাংলাদেশ ইলেকশন কমিশন সার্ভিসেস অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সভায় কর্মকর্তারা এসব দাবি তুলে ধরেন।
এ সভায় (সিইসি) প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রবিকউদ্দীন আহমদ পদোন্নতির দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন কয়েকজন ইসি কর্মকর্তারা।
সংগঠনের সভাপতি ইসির যুগ্মসচিব জেসমিন টুলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সাধারণ সভায় নির্বাচন কমিশনার জাবেদ আলী ও মো. শাহনেওয়াজ, ইসির অতিরিক্ত সচিব মো. মোখলেসুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
সভায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা, জেলা, উপজেলা ও ইসি সচিবালয়ের কয়েকশ কর্মকর্তা অংশ নেন।
পাবলিক সার্ভিস কমিশনের অধীনে নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদের নিয়োগ করা হয়। তবে বিসিএস পরীক্ষায় নির্বাচন কর্মকর্তা হিসেবে আলাদা ক্যাডার করার দাবি এলো এ সভায়। সেই সঙ্গে বিদ্যমান কর্মকর্তাদেরও ক্যাডারভুক্ত করার দাবি করেন তারা।
দিনব্যাপী এ সভায় মূলত চারটি এজেন্ডা নিয়ে আলোচনা হয়। এরমধ্যে সমিতির গঠনতন্ত্র অনুমোদন, পদোন্নতি ও আপগ্রেডেশন, কমিশন সচিবালয় ও মাঠের সাংগঠনিক কাঠামো সংক্রান্ত এবং পরবর্তী কমিটি গঠন সংক্রান্ত।
নির্বাচন কমিশন
তিনি বলেন, বিভিন্ন নির্বাচনে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নির্বাচনে মূল সমন্বয়কের ভূমিকা পালন করেন। বর্তমানে পদোন্নতি নিয়ে অনেক কর্মকর্তা হতাশায় ভুগছেন।
ইসির কর্মকর্তাদের দ্রুত পদোন্নতি দিতে কমিশনের কাছে অনুরোধ জানান ইসি এই যুগ্মসচিব।
ইসি কর্মকর্তারা বলছেন, পদমর্যাদার কারণে অনেক ক্ষেত্রে উপজেলার অনেক সিনিয়র কর্মকর্তা ইসি কর্মকর্তাদের সমন্বয়কের ভূমিকা ভালভাবে না নিয়ে নানাভাবে অসহযোগিতা করে থাকেন। ফলে নির্বাচন পরিচালনায় সমস্যা এবং সমন্বয়হীনতা দেখা দেয়।
ইসির কর্মকর্তারা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার পদ যুগ্ম-সচিব, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার পদ উপ-সচিব এবং উপজেলায় পর্যায়ে ১১০টি পদ সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তার পদে উন্নীত করার দাবি তোলেন।
এছাড়া অতিরিক্ত সচিব, যুগ্ম-সচিব, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাসহ অন্যান্য শূন্য পদগুলোতে দ্রুত পদোন্নতিও দেওয়ার দাবি জানান তিনি।
পরে সভায় সিইসি বলেন, কর্মকর্তাদের উন্নত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কর্মকর্তাদের সততা, সাহসিকতা ও দক্ষ হতে হবে। কর্মকর্তাদের যেসব সমস্যা রয়েছে সেগুলো সমাধানের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।