জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব/জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বা সমমানের ৩০টি পদে নিয়োগ বিধি অনুযায়ী পরীক্ষা ছাড়াই পদোন্নতির দাবি জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা।
Published : 08 Sep 2016, 10:28 AM
পদোন্নতি প্রত্যাশী এই কর্মকর্তারা সহকারী সচিব, সহকারী পরিচালক ও উপজেলা/থানা নির্বাচন কর্মকর্তা পর্যায়ের। গত ১০-১২ বছর ধরে একই পদে রয়েছেন বলে তারা জানিয়েছেন। কয়েকজন কর্মকর্তা এ বিষয়ে ইসি সচিবকে চিঠিও দিয়েছেন।
বাংলাদেশ ইলেকশন কমিশন সার্ভিসেস অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকেও চলতি সপ্তাহে কর্মকর্তাদের পদোন্নতিসহ বিভিন্ন দাবি ইসির কাছে তুলে ধরা হয়।
অ্যাসোসিয়শেনের সভাপতি ও ইসির যুগ্ম সচিব জেসমিন টুলী স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত সভার কার্যবিবরণী বুধবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনার ও সচিবসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছেও জমা দেওয়া হয়।
এতে বলা হয়, বর্তমান চাকরি বিধি অনুযায়ী পদোন্নতিতে বাধা না থাকায় অতিরিক্ত সচিব, যুগ্মসচিব, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা, উপ সচিব/সমমানের পদ, জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব/জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা/সমমানের পদে অতি দ্রুত পদোন্নতির দাবি জানানো হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, আগামী ২২ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এ দাবি কমিশন গ্রহণ না করলে তারা অ্যাসোসিয়েশন থেকে ‘পরবর্তী পদক্ষেপ’ নেবেন।
পদোন্নতিপ্রত্যাশীরা জানান, জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব ও সমমানের পাঁচটি পদ বর্তমানে শূন্য রয়েছে, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও উপ সচিব সমমান পদে পদোন্নতি দেওয়া হলে আরও ২৫টি পদ শূন্য হবে।
একজন কর্মকর্তা জানান, পদোন্নতির পরীক্ষার জন্য গত ২২ জুলাই সিলেবাস প্রণয়ন করা হয়েছে। এখনও পরীক্ষার সূচি ঘোষণা করা হয়নি।
তার আগ পর্যন্ত ২০০৮ সালের নিয়োগ বিধি অনুযায়ী পরীক্ষা ছাড়াই পদোন্নতি দিতে ‘কোনো বাধা নেই’ বলে ওই কর্মকর্তার দাবি।
তিনি বলেন, ওই বিধির আলোকে আগে দুটি ধাপে পরীক্ষা ছাড়াই একই ব্যাচের ৬৫ জনের পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে।
ইসির নিয়োগ বিধিতে বলা হয়েছে, কমিশনের নির্ধারিত প্রশিক্ষণ না নিলে এবং নির্ধারিত সিলেবাস অনুযায়ী পরিচালিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হলে জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব, একান্ত সচিব (জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব), অতিরিক্ত আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা, জেলা নির্বাচন অফিসার ও উপ পরিচালক পদে পদোন্নতি দেওয়া যাবে না।
“তবে শর্ত থাকে যে, কমিশনের সিলেবাস প্রণয়ন ও পরীক্ষা না নেওয়া পর্যন্ত এ বিধান প্রযোজ্য হবে না।”
উপ পরিচালক পদমমর্যাদার একজন কর্মকর্তা বলেন, “আমরা যে গ্রেডে পদোন্নতি চাচ্ছি, ইতোমধ্যে সে গ্রেডের আর্থিক সুবিধা পাচ্ছি। পদোন্নতি পেলে সরকারের আর্থিক ক্ষতি হবে না, জ্যেষ্ঠতারও কোনো ব্যত্যয় ঘটবে না।”
কর্মকর্তাদের এই দাবির বিষয়ে জানতে চাইলে ইসি সচিব মো. সিরাজুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “নির্ধারিত বিধি মেনেই পদোন্নতি দেওয়া হয়। সিলেবাস করা হয়েছে। সেক্ষেত্রে বিধিমালায় যেভাবে পদোন্নতির কথা বলা হয়েছে, সেভাবে তাদেরকেও দেওয়া হবে। বিধির বাইরে পদোন্নতির সুযোগ নেই।”