এ হামলা তদন্তের দায়িত্বে থাকা পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম বলেছেন, “এই সাত-আটজনের সাংগঠনিক নাম পাওয়া গেছে। তাদের সম্পর্কে বিস্তারিত এখনও জানা যায়নি।
“গুলশান হামলায় তাদের বিভিন্ন ধরনের ভূমিকা রাখার তথ্য পাওয়া গেছে।”
মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে মনিরুল ইসলাম ওই সন্দেহভাজনদের বাংলাদেশের ভিতরে অবস্থানের বিষয়ে ধারণার কথা জানান।
তবে তাদের সুনির্দিষ্ট অবস্থান বা তাদের কোনো ছবি পাওয়া যায়নি বলে জানান তিনি।
গত ১ জুলাই হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলা চালিয়ে ১৭ বিদেশিসহ ২০ জিম্মিকে হত্যার পর কয়েকজনের ছবি ইন্টারনেটে ছাড়ার পাশাপাশি জঙ্গিরা প্রযুক্তি ব্যবহার করে বাইরের কারও সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল বলে জানায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া বিভিন্ন ডিভাইস পরীক্ষাগারে রয়েছে জানিয়ে পুলিশ কর্মকর্তা মনিরুল বলেন, “সেগুলো পরীক্ষার পর আশা করা যাচ্ছে জানা যাবে… মারা যাওয়া জঙ্গিরা কাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন।”
ইতোমধ্যে গুলশান হামলার ‘অন্যতম পরিকল্পনাকারী’ নুরুল ইসলাম মারজানের ছবি প্রকাশ করে প্রাথমিক সাফল্য পাওয়া গেছে বলে জানান মনিরুল।
মারজানের বিষয়ে বিস্তারিত জানতে তার পরিবার, স্বজন ও প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলা হবে জানিয়ে মনিরুল ইসলাম বলেন, “মারজানকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হলে জঙ্গি কর্মকাণ্ডে তার ভূমিকা সম্পর্কে আরও জানা সম্ভব হবে।”
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের প্রধান বলেন, গুলশান হামলার ‘পরিকল্পনাকারী’ ও কল্যাণপুরের জঙ্গিদের সঙ্গে সম্পৃক্ত হিসেবে নাম উঠে আসা তামিম চৌধুরী ও চাকরিচ্যুত সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল হককে গ্রেপ্তারের কোনো খবর তার জানা নেই।
“গুলশান হামলার ঘটনায় শুধু হাসনাত রেজা করিম গ্রেপ্তার আছেন,” বলেছেন তিনি।
‘জিম্মি দশা থেকে মুক্তি পাওয়া’ ও বর্তমানে পুলিশের রিমান্ডে থাকা তাহমিদ হাসিব খান সম্পর্কে ওই ঘটনায় জড়িত থাকার কোনো প্রমাণ এখনও মেলেনি বলে দাবি করেন তিনি।