এই বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা খবর প্রকাশকারী হাব-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই হামলায় নিহত কোয়ো ওগাসাওয়ারা ১৯৯৭ সালে জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভূগোল ও পরিবেশ প্রকৌশলে স্নাতকোত্তর করেন।
জাপান টাইমসের তথ্য অনুযায়ী ওগাসাওয়ারা টোকিওভিত্তিক নির্মাণ পরামর্শক কোম্পানি কাটাহিরা অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্টারন্যাশনালে কর্মরত ছিলেন।
ঢাকায় মেট্রোরেল প্রকল্পের কাজের জন্য বাংলাদেশে এসেছিলেন তিনি।
জাপান টাইমস বলছে, কোম্পানিতে বিপুল অভিজ্ঞতাসম্পন্ন কর্মী হিসেবে মূল্যায়িত হতেন ৫৬ বছর বয়সী ওগাসাওয়ারা, যার ‘নেতৃত্বের গুণাবলী’ ছিল।
তার প্রকল্পগুলোতে ভিয়েতনাম ও ফিলিপিন্সের মতো এশীয় দেশগুলো গুরুত্ব পেত।
ওগাসাওয়ারা বাংলাদেশে এসেছিলেন গত ২০ জুন। মঙ্গলবার তার দেশে ফেরার কথা ছিল।
গত শুক্রবার গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে বন্দুকধারীরা হামলা চালিয়ে দেশি-বিদেশি অতিথিদের জিম্মি করে। পরদিন সকালে কমান্ডো অভিযানে ওই ক্যাফের নিয়ন্ত্রণ নেয় নিরাপত্তা বাহিনী।
পরে সেখান থেকে ২০ জিম্মির মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়, যাদের ১৭ জন বিদেশি নাগরিক।
এই বিদেশিদের মধ্যে জাপানের সাত নাগরিক ছাড়াও ইতালির নয়জন এবং ভারতের একজন নাগরিক ছিলেন।