কক্সবাজার-৪ আসনে সরকাদলীয় সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদি তার সম্পদ নিয়ে নির্বাচনী হলফনামা, আয়কর নথি ও দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) পরস্পরবিরোধী তথ্য দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির আইনজীবী কবির হোসাইন।
Published : 08 Jun 2016, 08:33 PM
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেছেন, অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের করা মামলায় বুধবার ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতে তার বিরুদ্ধে জেরার উত্তরে তদন্ত কর্মকর্তা মঞ্জিল মোর্শেদ এসব তথ্য দেন।
আইনজীবী কবির হোসাইন বলেন, এমপি বদি তার ২০০৮ ও ২০১৩ সালের নির্বাচনী হলফনামায় যথাক্রমে ৪৯ লাখ ৭৯ হাজার ও ১১ কোটি ৫৩ লাখ এবং আয়কর নথিতে ৯ কোটি ৫৩ লাখ, দুদকের নোটিসের জবাবে ৫ কোটি ২০ লাখ টাকার সম্পদ উল্লেখ করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা।
মামলায় এদিন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আবু আহম্মেদ জমাদারের আদালতে তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক মঞ্জিল মোর্শেদকে জেরার দিন ছিল।
সকালে তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে হাজির হলে বদির পক্ষের আইনজীবীরা তাকে জেরা করেন। জেরা শেষ না হওয়ায় বিচারক আগামী ১৫ জুন বাকি জেরার দিন রাখেন। এসময় বদি আদালতে হাজির ছিলেন।
২০১৪ সালের ২১ অগাস্ট প্রায় ১৩ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে এমপি বদির বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন দুদকের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুস সোবহান।
গত বছরের ৭ মে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক মঞ্জিল মোর্শেদ সিএমএম আদালতে বদির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
অভিযোগপত্রে বদির ছয় কোটি ৩৩ লাখ ৯৪২ টাকার অবৈধ সম্পদের তথ্য তুলে ধরে বলা হয়, তিনি দুদকের কাছে তিন কোটি ৯৯ লাখ ৫৩ হাজার ২৭ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন।
মামলায় বদি ২০১৪ সালের ১২ অক্টোবর ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে বিচারক তা নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠান।
কয়েকদিন পর ২৭ অক্টোবর তাকে ৬ মাসের জামিন দেন বিচারপতি সৈয়দ এ বি মাহমুদুল হক ও বিচারপতি মো. আকরাম হোসেন চৌধুরীর হাই কোর্ট বেঞ্চ।