‘বন্দুকযুদ্ধে’ পুলিশ হত্যার আসামিসহ দুই ‘জঙ্গি’ নেতা নিহত

রাজধানীর হাজারীবাগে কথিত বন্দুকযুদ্ধে সন্দেহভাজন দুই জঙ্গি নেতা নিহত হয়েছেন, যাদের একজন গাবতলীর পুলিশ হত্যার আসামি।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকও নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 Jan 2016, 07:02 PM
Updated : 13 Jan 2016, 07:48 PM

বুধবার মধ্যরাতে শিকদার মেডিকেল কলেজের পেছনে ‘গোলাগুলিতে’ নিহতরা হলেন- কামাল ওরফে হিরন (২৮) ও আব্দুল্লাহ ওরফে নোমান (৩৫)।

গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার ছানোয়ার বলেন, জেএমবির ঢাকা বিভাগীয় কমান্ডার হিরন গাবতলীতে এএসআই ইব্রাহিম মোল্লা হত্যামামলার আসামি। নোমান জঙ্গি সংগঠনটির ‘ন্যাশনাল কমান্ডার’।

তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এরা জেএমবির বর্তমান আমির মুফতি সাইদুরের বিরোধী পক্ষ। এরা শায়খ রহমান ও বাংলাভাইয়ের (মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত) অনুসারী।”

হাজারীবাগ থানার এসআই আনসার আলী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, মধ্যরাতে শিকদার মেডিকেলের পেছনে জঙ্গিদের সঙ্গে ডিবি পুলিশের গোলাগুলি হয়।

গোয়েন্দা কর্মকর্তা ছানোয়ার বলেন, সন্দেহভাজন তিন জঙ্গিকে রাত সাড়ে ১০টার দিকে কামরাঙ্গীরচর থেকে ধরে তাদের নিয়ে অভিযানের সময় ঘণ্টাখানেক পর হাজারীবাগ এলাকায় এই ‘বন্দুকযুদ্ধ’ হয়।

তিনি বলেন, “তিন জঙ্গিকে নিয়ে ডিবির দুটি টিম অভিযান চালাচ্ছিল। রাত সাড়ে ১১টার দিকে একটি কালো মোটর সাইকেলে দুজনকে দেখে সন্দেহ হওয়ায় তারা ধাওয়া করে।

“এসময় তারা শিকদার মেডিকেলের কাছে মেডি ডেন্টাল কেয়ারের ৩ নম্বর রোডে ঢুকে পড়ে। সেখানে মোটর সাইকেল রেখে পাশের মাঠে গিয়ে গুলি চালালে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়।”

গোলাগুলির পর ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ হিরন ও নোমানকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।

‘বন্দুকযুদ্ধে’ গোয়েন্দা পুলিশের তিন সদস্য আহত হয়েছেন জানিয়ে ছানোয়ার বলেন, তাদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

গত বছরের ২২ অক্টোবর রাজধানীর গাবতলীতে তল্লাশি চৌকিতে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয় এএসআই ইব্রাহিমকে। তখন একজনকে আটক করা হলেও তার সঙ্গী পালিয়ে যান বলে পুলিশ জানিয়েছিল।

ইব্রাহিম হত্যাকাণ্ডের ১৩ দিনের মধ্যে ঢাকার আশুলিয়ায় পুলিশের তল্লাশি চৌকিতে হামলা চালিয়ে একইভাবে খুন করা হয়েছিল এক কনস্টেবলকে।

পুলিশ খুনসহ সাম্প্রতিক কয়েকটি হত্যাকাণ্ডে জঙ্গিরা জড়িত বলে পুলিশ দাবি করে আসছে। এর মধ্যে কথিত বন্দুকযুদ্ধে কয়েকজন জঙ্গি নেতা মারা যাওয়ার দাবিও করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।