শনিবার সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “এসব ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর যে ব্যর্থতা রয়েছে তা স্পষ্ট। সরকারের ভেতরে পৃষ্ঠপোষকতা না থাকলে এ ধরনের ঘটনা ঘটানো সম্ভব নয়।”
সরকার জনগণের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে দাবি করে ইমরান বলেন, “কোন মানুষই এখন আর নিরাপদ নয়। আগে ব্লগারদের হত্যা করা হচ্ছিল, এখন মুক্তমনা প্রকাশকদেরও হত্যা করা হচ্ছে।
“বিদেশি নাগরিক কিংবা মায়ের পেটের শিশু কেউই রক্ষা পাচ্ছে না।”
জঙ্গিবাদীরা দেশের মানুষের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, “এ বিরুদ্ধে সকলকে রাজপথে সোচ্চার প্রতিবাদ করতে হবে। এখন পিছু হটার কোন সুযোগ নেই।”
হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে রোববার বিকেলে শাহবাগ সহ সারাদেশে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাকও দেন গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র।
দুপুর আড়াইটার দিকে লালমাটিয়ায় অভিজিতের বইয়ের আরেক প্রকাশনা সংস্থা শুদ্ধস্বরের কার্যালয়ে ঢুকে এর কর্ণধার আহমেদুর রশীদ চৌধুরী টুটুলসহ তিনজনকে কুপিয়ে আহত করে সন্ত্রাসীরা।
টুটুলের সঙ্গে থাকা ব্লগার তারেক রহিম ও রণদীপম বসুকেও কোপানো হয়। টুটুল ও রহিমের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে ঢাকা মেডিকেলের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
অভিজিৎ রায়ের ‘অবিশ্বাসের দর্শন’সহ কয়েকটি বই বের করেছে শুদ্ধস্বর।
ওই ঘটনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে সন্ধ্যায় আজিজ সুপার মার্কেটের তৃতীয় তলায় নিজের কার্যালয়ে কুপিয়ে মারা হয় ফয়সাল আরেফিন দীপনকে।
তার মালিকানাধীন জাগৃতি প্রকাশনী অভিজিতের ‘বিশ্বাসের ভাইরাস’ নামে জনপ্রিয় বইটি প্রকাশ করেছিল।