বিভাগীয় মামলা হওয়ার পর তিনি সন্তোষজনক জবাব দিতে ব্যর্থ হন।
Published : 01 Feb 2024, 04:03 PM
চার বছর আগে বগুড়ায় দুদকের জালে ঘুষের টাকাসহ ধরা পড়া সহকারী কর কমিশনার অভিজিৎ কুমার দে’কে চাকরিচ্যুত করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর।
বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বুধবার এ আদেশ দেন।
২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর বগুড়ার সহকারী কর কমিশনার অভিজিৎ কুমার দে’কে নিজ কার্যালয় থেকে ঘুষের টাকাসহ গ্রেপ্তার করার কথা জানায় দুদক।
সংস্থাটি তখন বলেছিল, ইউনুস আলী নামে এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ঘুষ নেন অভিজিৎ। তিনি যশোরের মনিরামপুর উপজেলার সনৎ কুমারের ছেলে।
দুদকের অভিযোগ আমলে নিয়ে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ ২০২০ সালের ৯ জানুয়ারি তাকে সরকারি চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করে।
পরে অভিজিৎ কুমারের বিরুদ্ধে সরকারী কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এর ২(খ) অনুযায়ী ‘অসদাচরণের’ অভিযোগে বিভাগীয় মামলা করা হয়। এরপর অভিজিৎ যে জবাব দাখিল করেন, তা সন্তোষজনক না হওয়ায় এবং বিভাগীয় মামলায় ‘গুরুদণ্ড আরোপের পর্যাপ্ত ভিত্তি থাকায়’ একজন তদন্তকারী কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, তদন্তকারী কর্মকর্তা যে প্রতিবেদন দাখিল করেন, তাতে অভিজিতের বিরুদ্ধে ‘অসদাচরণের’ অভিযোগ প্রমাণ পাওয়ার কথা জানানো হয়।
এরপর অভিজিতকে চাকরি থেকে কেন অপসারণ করা হবে না তা জানতে দ্বিতীয় নোটিস দেওয়া হয়। নোটিসের জবাবে অভিজিৎ সন্তোষজনক ব্যাখ্যা দিতে ‘ব্যর্থ হন’ বলে এনবিআরের ভাষ্য।
এরপর বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের কাছে মতামত চাওয়া হলে কমিশন অভিজিৎকে চাকরি থেকে অপসারণের দণ্ডের সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত পোষণ করে।
তারপরই রাষ্ট্রপতির অনুমোদন নিয়ে অভিজিৎ কুমার দেকে অপসারণের প্রজ্ঞাপন জারি করে এনবিআর।
আরও পড়ুন: