সদস্য সংখ্যা ৫০ করার বিষয়টি এবার আইনে অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে।
Published : 28 Aug 2023, 06:46 PM
জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনের নির্বাচনে জামানতের পরিমাণ দ্বিগুণ করার বিধান রেখে আইন সংশোধনের প্রস্তাবে সায় দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে জাতীয় সংসদ (সংরক্ষিত মহিলা আসন) নির্বাচন (সংশোধন) আইন, ২০২৩ এর খসড়ার নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
সভা শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন এক ব্রিফিংয়ে বলেন, সংরক্ষিত নারী আসনে নির্বাচনে জামানতের পরিমাণ ছিল ১০ হাজার টাকা। সেটিকে বাড়িয়ে ২০ হাজার টাকা করা হচ্ছে।
২০০৪ সালের আইনে নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসন ছিল ৪৫টি। পরে ২০১১ সালে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সংরক্ষিত নারী সদস্যদের সংখ্যা বাড়িয়ে ৫০টি করা হলেও আইনে তার সংশোধনী আনা হয়নি। এখন এই বিষয়টিকে আইনে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
তিনি বলেন, বিদ্যমান আইনে সংরক্ষিত আসনে নির্বাচনের সময়সীমা রয়েছে ৪৫ দিন। আইন সংশোধন করে তা সাধারণ সংসদ সদস্যের নির্বাচনের মত ৯০ দিন করা হচ্ছে।
আরপিও’র সঙ্গে সমন্বয় করতে দ্বিগুণ করা হয় জামানত
ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ জানান, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) সঙ্গে সমন্বয় রেখেই সংরক্ষিত নারী আসনের প্রার্থীদের জন্য জামানত একই পরিমাণ নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছিল।
আরপিও এর ১৩ অনুচ্ছেদের দফা ১ অনুযায়ী, প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমার সময় ২০ হাজার টাকা জামানত দিতে হবে। ৪১ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী নির্দিষ্ট পরিমাণ ভোট পেলে জামানতের অর্থ ফেরত পান প্রার্থীরা।
সেক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সংখ্যক ভোট না পেলে তাদের জামানত সরকারের অনুকূলে বাজেয়াপ্তের বিধান রয়েছে। সংশ্লিষ্ট আসনের মোট প্রদত্ত ভোটের এক-অষ্টমাংশের কম ভোট পেলে ওই প্রার্থীর জমানতের অর্থ আর ফেরত পাওয়া যায় না।
সাধারণ নির্বাচনে জামানত বাজেয়াপ্তের বিধান থাকলেও সংরক্ষিত নারী আসনে একক প্রার্থী থাকায় ফেরত পাওয়ার নজির নেই বললে চলে।
২০০৪ সালের জাতীয় সংসদ (সংরক্ষিত মহিল আসন) নির্বাচন আইনের ২৫ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে প্রার্থীর স্বাক্ষরিত দরখাস্তের মাধ্যমে জামানতের অর্থ ফেরত দেওয়া হবে; অনির্বাচিত প্রার্থীর জামানত ফেরত দেওয়া হবে না।