গণঅভ্যুত্থানে যে ‘গণহত্যার ঘটনা ঘটেছে’ সেসবে জড়িতদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলা দায়ের করার উপায় ও পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
Published : 27 Sep 2024, 01:08 PM
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস ও আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) প্রধান কৌঁসুলি করিম খান বৈঠক করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের বার্ষিক অধিবেশনের ফাঁকে বৃহস্পতিবার বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।
ওই বৈঠকে বাংলাদেশে জুলাই-অগাস্ট মাসে গণঅভ্যুত্থানে যে ‘গণহত্যার ঘটনা ঘটেছে’ সেসবে জড়িতদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলা দায়ের করার উপায় ও পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেইসবুক পেইজে দেওয়া পোস্টে এ তথ্য জানানো হয়।
এছাড়া এই বৈঠকের কথা জানিয়ে বিএসএস লিখেছে, মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার পদ্ধতি নিয়ে প্রধান কৌঁসুলী ইউনূসের কাছেআইসিসির নিয়মের কথা তুলে ধরেন।
করিম বলেন, "বাংলাদেশ অবশ্যই হেগ ভিত্তিক আদালতে অভিযোগ দায়ের করতে পারে। সেক্ষেত্রে আইসিসিতে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা দায়েরের জন্য নিয়ম অনুসরণ করতে হবে।"
সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের দাবিতে ছাত্ররা যে আন্দোলন শুরু করে তা তীব্রতা পায় জুলাইর মাঝামাঝি সময়ে। ১৬ জুলাই পুলিশের গুলিতে রংপুরের আবু সাঈদসহ সারাদেশে ছয়জন নিহত হওয়ার পর আন্দোলন সহিংস আকার ধারণ করে।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন সরকার পতনের একদফা আন্দোলনে রূপ নেয়। তীব্র ছাত্র-গণ আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদে ইস্তফা দিয়ে দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর জুলাই-অগাস্টে হতাহতদের যে তালিকা তৈরি হয়েছে তাতে নিহতের সংখ্যা ৭০৮ জন বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। এছাড়া আন্দোলনে আহত হয়েছেন ২০ হাজার মানুষ।
আহত-নিহতের এই সংখ্যা করিমের কাছেও তুলে ধরেন উপদেষ্টা।
নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগ-ভিত্তিক আইসিসির প্রধান কৌঁসুলির সঙ্গে ওই বৈঠকে রোহিঙ্গা গণহত্যার অভিযোগে করা মামলা নিয়েও আলোচনা করেছেন মুহাম্মদ ইউনূস।
এ সময় করিম খান রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় প্রধান উপদেষ্টার প্রস্তাবিত তিন দফার প্রশংসা করেছেন।