অন্তর্বতীর্কালীন সরকারকে পনের-ষোল বছরের জঞ্জাল দূর করতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
Published : 14 Sep 2024, 09:31 PM
আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতা ছেড়ে দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর নেতারাও পালিয়েছেন; দলটির নেতৃত্ব দেওয়ার মত কেউ না থাকায় দলটি ছাড়াও জাতীয় নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে বলে মন্তব্য করেছেন সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজনের সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার।
শনিবার ঢাকার বিএফডিসিতে গণতন্ত্র সুরক্ষায় রাষ্ট্র মেরামত এবং জাতীয় নির্বাচন নিয়ে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি আয়োজিত এক ছায়া সংসদ বিতর্কে এসব কথা বলেন তিনি।
এক বিজ্ঞপ্তিতে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি এই তথ্য তুলে ধরেছে।
বদিউল আলম বলেন, একতরফা ও মধ্যরাতের নির্বাচন করে আওয়ামী লীগ এই দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়েছে।
“গত তিনটি নির্বাচনে নির্বাচন কমিশন, পুলিশ, প্রশাসন, রিটার্নিং অফিসার, পোলিং অফিসারসহ নির্বাচনের সাথে যুক্ত প্রায় সবাই অপরাধী কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত ছিল। নির্বাচন কমিশন নির্বাচন ব্যবস্থাকে বিভিন্ন অজুহাতে দলীয়করণ করে সংবিধানের সুস্পষ্ট লংঘন করেছে।
“আদালতের নির্দেশ অমান্য করেছে। অতিউৎসাহী হয়ে পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করেছে। নির্বাচনি অপরাধে অভিযুক্ত সকল ব্যক্তির বিচারের বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা উচিত।”
অন্তবতীর্কালীন সরকারকে পনের-ষোল বছরের জঞ্জাল দূর করতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, “তারপরেও জাতীয় নির্বাচন বিলম্বিত হলে অন্তবতীর্কালীন সরকারের প্রতি জনগণের আস্থা হ্রাস পেতে পারে।”
ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির এই ছায়া সংসদ বিতর্কে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।
হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, বিগত সরকারের সময় নির্বাচন নিয়ে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে। ৮ থেকে ১০ শতাংশ ভোট পড়লেও তা বাড়িয়ে ৪০ থেকে ৪৫ শতাংশ দেখানো হয়েছিল।
“এ দেশের মানুষ ভুলে যায়নি কীভাবে দিনের ভোট রাতে হয়েছিল। মৃত মানুষ, বিদেশে অবস্থানরত ব্যক্তি, শিশুরাও ভোট দিয়েছে। কোথাও কোথাও শতভাগ ভোট পড়েছে। ‘আমি আর ডামি’ প্রার্থীর নির্বাচন হয়েছিল। একই ব্যক্তি ভোট দিয়ে আবার লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিয়েছে। ভোটকেন্দ্রে সাংবাদিকদের প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ ছিল।”
‘গণতন্ত্র সুরক্ষায় রাষ্ট্র মেরামত এবং জাতীয় নির্বাচন’ শিরোনামে ছায়া সংসদ বিতর্কে প্রস্তাবের পক্ষে ছিলে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিতার্কিক দল, আর বিপক্ষে ছিলেন ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বিতার্কিকরা।
বিচারক ছিলেন সাংবাদিক সাইদুল ইসলাম, আলমগীর স্বপন, মসিউর রহমান খান, জাহিদ রহমান ও আহম্মদ ফয়েজ।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিতার্কিকদের পরাজিত করে ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বিতার্কিকরা বিজয়ী হন।