Published : 27 Jul 2024, 05:03 PM
রেমিটেন্স না পাঠালে প্রবাসীদের দেশে ফিরতে দেওয়া হবে না বলে জুনাইদ আহমেদ পলকের নামে ফেইসবুকে যে বক্তব্য ছড়িয়েছে, সেটি ‘অপপ্রচার’ বলে দাবি করেছেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী নিজেই।
শনিবার ফেইসবুক পোস্টে তিনি লিখেছেন, “রেমিটেন্স না পাঠালে দেশে আসতে দেওয়া হবে না-এমন একটি মিথ্যা তথ্য ও গুজব সোশ্যাল মিডিয়াতে অপপ্রচার হচ্ছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার জনবান্ধব সরকার সবসময় প্রবাসীদের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে।
“ইন্টারনেট ও সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে আমাদের সকলকে সচেতন ও সতর্ক থাকতে হবে। সকল ধরনের গুজব ও অপপ্রচার থেকে বিরত থাকতে হবে এবং অপপ্রচারকারীদের রুখতে হবে।’’
পোস্টে দুটি স্ক্রিনশট জুড়ে দিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী, যেসবে লেখা ‘রেমিট্যান্স না পাঠালে দেশে আসা বন্ধ করে দেবো: পলক’।
পলক লিখেছেন, ‘‘সত্য-মিথ্যা যাচাই আগে, ইন্টারনেটে শেয়ার পরে।’’
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতার পর ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিটেন্স না পাঠাতে ফেইসবুকে সরব হয়েছেন একদল প্রবাসী। তাতে দেশের রেমিটেন্স প্রবাহে কোনো প্রভাব পড়েছে কি না- তা এখনো স্পষ্ট নয়।
গত ১৮ জুলাই থেকে দেশে মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ আছে। ওইদিন থেকে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটও বন্ধ হয়ে যায়। পাঁচদিন পর গত মঙ্গলবার থেকে সীমিত পরিসরে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট চালু হলেও মোবাইল ডেটা এখনো চালু হয়নি। সবমিলিয়ে ইন্টারনেট ব্যাংকিং চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এর মধ্যে সহিংসতার পরিপ্রেক্ষিতে কারফিউ জারি হলে ২১, ২২ ও ২৩ জুলাই সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। আর ২৪ ও ২৫ জুলাই কয়েক ঘণ্টার জন্য ব্যাংক খোলা হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মেজবাউল হক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ‘‘ব্যাংক তো কয়েকদিন বন্ধ ছিল। ইন্টারনেটও বন্ধ ছিল। বুধ ও বৃহস্পতিবার সীমিত পরিসরে ব্যাংক চলেছে সময় কমিয়ে।
“এসময়ে আসা রেমিটেন্সের তথ্য রিকন্সিলিয়েশেন (প্রাপকের কাছে অর্থ বুঝিয়ে দেওয়ার পরে চূড়ান্তভাবে নিষ্পত্তিকরণ) করা হয়নি। প্রতিবেদন তৈরির কাজ চলছে, ব্যাংকিং সময় স্বাভাবিক হলে রেমিটেন্সের তথ্য জানাতে পারবে বাংলাদেশ ব্যাংক।’’