ডেঙ্গু মোকাবেলায় এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মেয়র আতিকুল।
Published : 04 Apr 2024, 11:42 PM
এইডিস মশার প্রজননস্থল ধ্বংসে পরিত্যক্ত পলিথিন, ডাবের খোসা এবং অন্যান্য আবর্জনা কিনে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন।
ঈদের পর কাউন্সিলর কার্যালয়গুলোতে এ কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানিয়েছেন ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার নগর ভবনে দ্বিতীয় পরিষদের ২৬তম সভায় বর্জ্য কেনার সিদ্ধান্ত হয়।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, চিপস বা সমজাতীয় ১০০টি প্যাকেট ১০০ টাকায়, আইসক্রিমের কাপ বা অন্য যেকোনো ডিসপোজেবল গ্লাস বা কাপ ১০০টি ১০০ টাকায়, প্রতি কেজি অব্যবহৃত পলিথিন ৫০ টাকা, প্রতিটি ডাবের খোসা ২ টাকা; মাটি, প্লাস্টিক, মেলামাইন বা সিরামিকের পাত্র প্রতিটি ৩ টাকা, প্রতিটি পরিত্যক্ত টায়ার ৫০ টাকা, পরিত্যক্ত কমোড বা বেসিন প্রতিটি ১০০ টাকা এবং অন্যান্য পরিত্যক্ত প্লাস্টিক দ্রব্য প্রতি কেজি ১০ টাকায় কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সভা শেষে আতিকুল ইসলাম বলেন, ডেঙ্গু মোকাবেলায় শহরজুড়ে ছড়িয়ে থাকা এইডিস মশার প্রজননস্থল এবং পরিবেশের ক্ষতিকর এসব দ্রব্য কেনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
“এসব দ্রব্য আমরা জনগণের কাছ থেকে নগদ টাকায় কিনে নেব। প্রতিটি ওয়ার্ডে কাউন্সিলরের কার্যালয়ে গিয়ে যে কেউ এসব দ্রব্য জমা দিয়ে নগদ টাকা নিয়ে আসবেন। ওয়ার্ডে কেনা পরিত্যক্ত দ্রবগুলো পরিচ্ছন্নকর্মীরা প্রতিদিন সংগ্রহ করে এসটিএসে নিয়ে আসবে।”
ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে প্রতিটি ওয়ার্ডে কাউন্সিলরের নেতৃত্বে জনগণকে সচেতন করতে ঈদের পর কর্মসূচি শুরু হবে বলে জানান তিনি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ও মৃত্যুর তথ্য রাখে ২০০০ সাল থেকে। এর মধ্যে ২০২৩ সালে সবচেয়ে বেশি ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়। ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সবচেয়ে বেশি ১৭০৫ জনের মৃত্যুও হয়েছে ওই বছর।
এ বছর বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৭৪৬ জন। তাদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের। বছরের প্রথম তিন মাসে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ও মৃতের এই সংখ্যা আগের যেকোনো বছরের চেয়ে বেশি।
ডিএনসিসি সচিব মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিকের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর খায়রুল আলম, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাঈন উদ্দিন, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমরুল কায়েস চৌধুরী, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ ফিদা হাসান।