সচিবালয়ে আনসার সদস্যদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের মধ্যে মারধরে মাথায় আঘাত পেয়েছিলেন তিনি।
Published : 04 Sep 2024, 10:45 PM
সচিবালয়ে দাবি-দাওয়া নিয়ে যাওয়া আনসার সদস্যদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের মধ্যে আহত একজন দশ দিন পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
শাহীন হাওলাদার (৪৫) নামে ওই ব্যক্তি একটি বেসরকারি কোম্পানির গাড়ি চালাতেন; বাড়ি খুলনার মোংলা উপজেলার সোনাডাঙ্গা হলেও পরিবার নিয়ে থাকতেন ঢাকার বাসাবোতে।
শাহীনের ছেলে হাসান আহমেদ বিশাল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বুধবার সকালে ঢাকা মেডিকেলে তারা বাবা মারা যান।
কবি নজরুল সরকারি কলেজের এ শিক্ষার্থী বলেন, গত ২৫ অগাস্ট সচিবালয়ে আনসারদের আন্দোলন-বিক্ষোভের খবরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ছাত্রদের সঙ্গে তিনি নিজেও গিয়েছিলেন। এ খবর পেয়ে তার বাবাও সেখানে যান।
“আনসাররা আমাদের সেখানে মারধর করছিল। আব্বা আমাকে বাঁচাতে সেখানে যান। আমি সরে যেতে পারলেও কয়েকজন আনসার সদস্য আব্বাকে ধরে মারধর করে। এতে তার মাথায় আঘাত লাগে। পরে ঢাকা মেডিকেলে লাইফ সাপোর্টে ছিলেন তিনি। সকালে মারা গেছেন।”
শাহীন হাওলাদারের বন্ধু পরিচয় দেওয়া মোহাম্মদ সেলিম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “প্রায়ই মুক্তাঙ্গনে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিত শাহীন। ২৫ অগাস্টও সেখানে ছিল।
“শাহীন আমার বন্ধু মানুষ। ওই দিন আনসারদের সংঘর্ষের সময় সেও গিয়েছিল থামাতে। একপর্যায়ে সে মাথায় আঘাত পায়। আমিসহ কয়েকজন তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যাই। সেখানে আইসিইউতে ছিল। সকাল ৭টার দিকে মারা গেছে।”
আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ও অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর ২৫ অগাস্ট সচিবালয়ের সামনে অবস্থান নেন আনসার সদস্যরা। তারা চাকরি জাতীয়করণসহ কয়েক দাবিতে সচিবালয়ের কর্মকর্তাদের অবরুদ্ধ করে রাখেন।
পরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলম ও হাসনাত আব্দুল্লাহকেও সচিবালয়ে আটকে রাখার খবরে রাত ৯টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী মিছিল নিয়ে সচিবালয়ে গেলে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে আহত করেন আনসার সদস্যরা। সেদিন অন্তত ১৫ জনকে আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।
আরও পড়ুন-
সচিবালয়ে সংঘর্ষ: গ্রেপ্তার ৩৮৮ আনসার সদস্য কারাগারে
সচিবালয়ে সংঘর্ষ: আনসার সদস্যদের বিরুদ্ধে মামলা