উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ও শেখ বশিরকে অপসারণের দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
Published : 14 Nov 2024, 12:20 AM
সরকারে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণ এবং মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ও শেখ বশিরসহ জুলাইয়ের গণআন্দোলনের ‘চেতনা ধারণ না করা’ উপদেষ্টাদের অপসারণের দাবি জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।
ঢাকায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে সংবাদ সম্মেলনে তারা ১২ দফা দাবি তুলে ধরেন।
বেসরকারি প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটি শিক্ষার্থী মো. আব্দুর রাজ্জাক রিয়াল সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “উপদেষ্টা পরিষদ থেকে জুলাই বিপ্লবের স্পিরিটকে ধারণ না করা ব্যক্তিদের, যেমন মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ও শেখ বশিরকে অপসারণ করতে হবে। অন্তবর্তীকালীন সরকার ও উপদেষ্টাগণকে ছাত্র প্রতিনিধিদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ নিশ্চিত করতে হবে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র প্রতিনিধিদের রাষ্ট্রযন্ত্রে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।”
অন্য দাবিগুলো হল- বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হতাহতদের পরিবারকে পুনর্বাসন কর। আহতদের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করা। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি এবং সিন্ডিকেট বিলুপ্ত করতে ছাত্রদের অংশগ্রহণে একটি ‘পেট্রোল টিম’ গঠন করা।
এ ছাড়া উপদেষ্টা পরিষদে কারা যাবে, তা নির্ধারণে একটি কমিটি গঠন করা, যেখানে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি ও নেতৃস্থানীয় প্রতিনিধিরা অন্তর্ভুক্ত থাকবে। গণহত্যার বিচার কার্যক্রম নিশ্চিত করতে ছাত্র প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা। সংবিধানের পুনর্লিখন ও সংস্কার করা। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ১৫ শতাংশ আরোপিত আয়কর প্রত্যাহার করা।
সংবাদ সম্মেলনে কৃষিখাতের জন্য গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিত্ব ও কৃষিবিদ বিজ্ঞানিকে উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া, সংস্কার কার্যক্রম পরিচালনা করতে জনমত জরিপের মাধ্যমে জনসাধারণের কাঙ্ক্ষিত সংস্কার নিশ্চিত করা এবং সামাজিক নিরাপত্তা ও গ্রাম্য বিচারিক আদালত চালু রাখতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করার দাবি তুলে ধরা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজির শিক্ষার্থী হাসনাত, ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী জাকের হোসেন মনজুর, গ্রিন ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী জানে আলম, আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের শিক্ষার্থী হৃদয় স্বজন উপস্থিত ছিলেন।