“শিশুদের মেধাকে যদি বিকশিত করতে পারি তারা দেশ ও সমাজ গঠনে, উন্নত মানবিক জাতি গঠন ও বিশ্বব্যাপী শান্তি স্থাপনে বিরাট ভূমিকা রাখবে,” বলেন তিনি।
Published : 10 Feb 2024, 04:37 PM
শিশুরা যাতে স্মার্টফোনে আসক্ত না হয়ে পড়ে, সেদিকে অভিভাবকদের মনোযোগী হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেছেন, “এখন প্রায় সব বয়সের মানুষই স্মার্টফোনে নিবদ্ধ হয়ে গেছে। এর ভালো দিক যেমন আছে, অনেক খারাপ দিকও আছে। যেকোনো কিছুতে আসক্তিই খারাপ। সেই আসক্তি থেকে শিশুদেরকে বের করে আনতে হবে।”
বৃহস্পতিবার বিকালে ঢাকার শিল্পকলা একাডেমিতে চিলড্রেনস ফিল্ম সোসাইটি বাংলাদেশ আয়োজিত ষোড়শ আন্তর্জাতিক শিশু চলচ্চিত্র উৎসব উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, “আমাদের শিশুরা অনেক মেধাবী। তাদের সেই মেধাকে যদি বিকশিত করতে পারি তারা দেশ ও সমাজ গঠনে, উন্নত মানবিক জাতি গঠন ও বিশ্বব্যাপী শান্তি স্থাপনে বিরাট ভূমিকা রাখবে।
“এ ক্ষেত্রে শিশু চলচ্চিত্র উৎসব অনেক বড় ভূমিকা রাখে, কারণ এখানে শিশুরা নিজেরাই ছোট ছোট চলচ্চিত্র বানায়, আজকে উপস্থাপকরাও ছিল শিশু। ১৬ বছর ধরে ধারাবাহিক এ উৎসব আয়োজকদের আমি ধন্যবাদ জানাই।”
তথ্যমন্ত্রী বলেন, “চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সাথে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যেন প্রতিযোগিতা করে এগিয়ে যেতে পারে, আমরা সেই বাংলাদেশ রচনা করতে চাই। সেটি করার ক্ষেত্রে শিশুপ্রতিভা বিকাশ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেই ক্ষেত্রে শিশু চলচ্চিত্র উৎসব অনন্য ভূমিকা রাখছে।”
বিএনপি মহাসচিব ফখরুল ও নোবেলজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসের কারাবন্দি হওয়ার শঙ্কার বিষয়ে সাংবাদিকরা দৃষ্টি আকর্ষণ করলে হাছান মাহমুদ বলেন, “দেখুন বাংলাদেশে আইন এবং আদালত স্বাধীন। সে কারণেই সরকারি দলের অনেক এমপির বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে এবং তারা কারাগারেও গেছেন।
“ড. মুহাম্মদ ইউনূস নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন, তিনি একজন জ্যেষ্ঠ নাগরিক। তার প্রতি সম্মান এবং শ্রদ্ধা দুইই রেখে বলতে চাই- কেউ নোবেল পুরস্কার পেলে আইনের ঊর্ধ্বে হন না। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন নোবেল লরিয়েটের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, এমনকি তারা কারাগারেও গেছেন।”
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান বলেন, “আইন এখানে নিজস্ব গতিতে চলবে। সরকারের কাউকে কারাগারে পাঠানোর কোনো পরিকল্পনা নেই। আইন এবং আদালত যেভাবে সিদ্ধান্ত নেয়, সরকার সেটি পালন করে মাত্র। কাউকে কারাগারে পাঠানোর পরিকল্পনা সরকারের নেই।”
একাডেমি চত্বরে জাতীয় সংগীতের সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠান সূচনায় মন্ত্রীর সঙ্গেঅংশ নেন সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা চলচ্চিত্র নির্মাতা মোরশেদুল ইসলাম এবং সভাপতি অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল।
‘ফ্রেমে ফ্রেমে আগামী স্বপ্ন' স্লোগান নিয়ে তিন দিনব্যাপী এ উৎসবে ৩৯টি দেশের ১০১টি চলচ্চিত্র দেখানো হবে।
(প্রতিবেদনটি প্রথম ফেইসবুকে প্রকাশিত হয়েছিল ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে: ফেইসবুক লিংক)