পুলিশ জানতে পেরেছে, জনৈক ‘পাপ্পু হিজড়া’ এদের ‘গুরুমাতা’। তিনি হিজড়া সাজিয়ে চাঁদাবাজি করান। বিনিময়ে প্রতিজনকে প্রতিদিন ৬০০ টাকা করে দিতে হয়।
Published : 13 Aug 2023, 08:05 PM
হিজড়া সেজে চাঁদাবাজি করার অভিযোগে আটক আটজন পুরুষকে দ্রুত বিচার আইনে করা মামলায় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
রোববার তাদের ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা মিরপুর মডেল থানার এসআই তামিম রহমান।
পরে ঢাকার মহানগর হাকিম তাহমিনা হক তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আদালতে সংশ্লিষ্ট থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এসআই আলমগীর হোসেন এ তথ্য সাংবাদিকদের জানান।
আগের দিন দুপুরে মিরপুর মডেল থানার টেকনিক্যাল মোড় এলাকা থেকে হিজড়া সেজে চাঁদাবাজি করার অভিযোগে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
মামলার এজাহারে বলা হয়, হিজড়ার বেশ ধরে ১২ অগাস্ট দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মিরপুর টেকনিক্যাল মোড়ে তাওহীদ আলী নামের এক মোটরসাইকেল আরোহীর গতিরোধ করে টাকা দাবি করেন আসামিরা। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে জোর করে ২০০ টাকা কেড়ে নেয় তারা।
তাওহীদ জাতীয় জরুরি নম্বর ৯৯৯ এ ফোন করলে পুলিশের একটি দল সন্দেহভাজন আটজনকে গ্রেপ্তার করে। তারা সবাই হিজড়ার বেশ ধরে থাকলেও পরে দেখা যায় তারা সবাই পুরুষ।
পুলিশ জানতে পেরেছে, জনৈক ‘পাপ্পু হিজড়া’ এদের ‘গুরুমাতা’। এই পাপ্পু দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের ঢাকায় আনেন এবং হিজড়া সাজিয়ে চাঁদাবাজি করান। বিনিময়ে প্রতিজনকে প্রতিদিন ৬০০ টাকা করে দিতে হয়।
শনিবার ধরা পড়া আটজন হলেন- মো. হোসেন যিনি নিজের নাম বলতেন শিলা হিজড়া, মো. হৃদয় (পিয়া হিজড়া পরিচয় দিতেন), আমিনুল ইসলাম (পরিচয় দিতেন ঐশী হিজড়া বলে), সাইফুল ইসলাম (নাম বলতেন জয়া হিজড়া), মো. ইয়াহিয়া (নাম বলতেন মৌরি হিজড়া), মো. নয়ন ওরফে (নাম বলতেন নিশি হিজড়া), মো. বেলাল (নাম বলতেন কেয়া হিজড়া) এবং মিজানুর রহমান (নাম বলতেন চায়না হিজড়া)।
তাদের গ্রামের বাড়ি লক্ষ্মীপুর, সিরাজগঞ্জ, পাবনা ও ময়মনসিংহে। তাদের কয়েকজন বিবাহিত এবং সন্তানও আছে, বলেছেন মিরপুর মডেল থানার ওসি মো. মহসিন।