যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে হত্যার পর ১৬ বছর আত্মগোপনে থাকা মৃত্যদণ্ডপ্রাপ্ত এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
গ্রেপ্তার উজ্জ্বল প্রামাণিক (৪০) বগুড়া সদর থানার কৈচড় দক্ষিণপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। গত ২৪ জুলাই তার মৃত্যুদণ্ডের রায় দেয় আদালত।
ঢাকার আাশুলিয়া থেকে মঙ্গলবার রাতে উজ্জ্বলকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে বুধবার কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে জানায় র্যাব।
র্যাব-৩ এর অধিনায়ক লেফটেনেন্ট কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ জানান, ২০০৬ সালের জুনে উজ্জ্বলের সঙ্গে একই গ্রামের আকবর আলী শেখের মেয়ে আলো বেগমের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়।
“বিদেশ যাওয়ার কথা বলে আলো বেগমের পরিবারের কাছে টাকা দাবি করে উজ্জ্বল। কিন্তু টাকা না পেয়ে নির্যাতন শুরু করে। এর মধ্যে যৌতুকের জন্য পারিবারিক বিচার-সালিশ হয়।”
ওই বছরের পহেলা অগাস্ট উজ্জ্বলের ভগ্নিপতি নাজমুল হোসেন লাবু আলোর পরিবারকে জানায়, তিনি গুরুতর অসুস্থ।
“এরপর পরিবারের লোকজন উজ্জ্বলের বাড়িতে গিয়ে ঘরের মেঝেতে আলোর লাশ দেখতে পায়।”
এ ঘটনায় উজ্জ্বলকে প্রধান আসামি করে পাঁচজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন আলোর ভগ্নিপতি জাহাঙ্গীর আলম বুলু। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় গত ২৪ জুলাই তার মৃত্যুদণ্ড দেয় আদালত। বাকি চার আসামি খালাস পান।
আলো বেগমকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয় বলে সংবাদ সম্মেলনে জানান র্যাব কর্মকর্তা।
“ঘটনার পরই উজ্জ্বল তার মা আলেয়াকে নিয়ে পালিয়ে গাজীপুর চৌরাস্তা এলাকায় পরিচয় গোপন রেখে বসবাস শুরু করেন। এর ছয় মাস পর নাছিমা খাতুন নামে একজনকে বিয়ে করেন।”
তাদের ১০ বছর ও তিন বছর বয়সী দুটি ছেলে সন্তান রয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
র্যাব অধিনায়ক আরিফ বলেন, “উজ্জ্বল পালিয়ে আসার পর নিজ বাড়ি ও আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে বিভিন্ন পেশায় জড়িত হয়ে দিনযাপন করছিলেন।”
কিছুদিন আগে এক আত্মীয়ের মাধ্যমে উজ্জ্বল জানতে পারেন মৃত্যুদণ্ডের রায় হয়েছে। এরপর থেকে তিনি সপরিবারে আশুলিয়ায় বসবাস শুরু করেন বলে সংবাদ সম্মেলনে জানায় র্যাব।