সরকার নির্বাহী আদেশে ছুটি ঘোষণা করলে, তখন সব আদালতে ছুটি থাকবে।
Published : 23 Jul 2024, 09:47 PM
দেশে কারফিউ শিথিল থাকার সময়ে সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাই কোর্ট বিভাগ এবং অধস্তন আদালতে বিচারিক কাজ চলবে।
মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল আজিজ আহমদ ভূঞা স্বাক্ষরিত তিনটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে গত কয়েকদিন দেশজুড়ে সহিংসতা ও হতাহতের ঘটনা ঘটে; ঢাকার কয়েক স্থানে নজিরবিহীন নৈরাজ্যের মধ্যে জারি করা হয় কারফিউ। এই কারফিউ বা সান্ধ্য আইন চলার আগে আপিল বিভাগের বিচারিক কার্যক্রম সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়ে দুপুর সোয়া ১টা পর্যন্ত চলছিল।
রেজিস্ট্রার জেনারেল জানিয়েছেন, যদি সকাল ৯টার আগে কারফিউ শিথিল শুরু হয়, সেক্ষেত্রে আপিল বিভাগের বিচারিক কাজ আগের মতো সকাল ৯টাতেই শুরু হবে। আর কারফিউ শিথিল শুরুর সময় সকাল ৯টার পর হলে- তখন থেকেই বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়ে চলবে দুপুর সোয়া ১টা পর্যন্ত।
হাই কোর্ট বিভাগে সাধারণ সময়ে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিকাল সোয়া ৪টা পর্যন্ত বিচারিক কার্যক্রম চলে।
এই বিভাগের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কারফিউ শিথিল শুরুর সময় সকাল সাড়ে ১০টার আগে হলে হাই কোর্ট বিভাগের বিচারিক কার্যক্রম আগের মতোই সকাল সাড়ে ১০টায় শুরু হবে। আর কারফিউ পরে শুরু হলে- সেই সময় থেকে বিকাল সোয়া ৪টা পর্যন্ত বিচারিক কার্যক্রম চলবে।
এর মধ্যে দুপুর সোয়া ১টা থেকে ২টা পর্যন্ত জোহরের নামাজের বিরতি থাকবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
আপিল ও হাই কোর্ট বিভাগের দুই বিজ্ঞপ্তিতেই বলা হয়েছে, সান্ধ্য আইন চলাকালে আপিল বিভাগ ও হাই কোর্ট বিভাগের সব দপ্তর ও শাখা যথারীতি খোলা থাকবে। তবে নির্বাহী আদেশে সরকার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করলে আপিল ও হাই কোর্ট বিভাগেও ছুটি থাকবে।
অধস্তন আদালত
রেজিস্ট্রার জেনারেল আজিজ আহমদ ভূঞা জানান, সান্ধ্য আইন শিথিলের সময়ে আদালত বা ট্রাইব্যুনালের সময় ঠিক করে তা সংশ্লিষ্টদের জানিয়ে বিচারিক কাজ পরিচালনা করবেন জেলা ও মহানগরের বিচারকরা।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সরকার নির্বাহী আদেশে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করলে এই ছুটি চলাকালে অধস্তন আদালত বা ট্রাইব্যুনালেও ছুটি থাকবে। ছুটি চলাকালে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এবং চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এক বা একাধিক ম্যাজিস্ট্রেট সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতায় সার্বক্ষণিক দায়িত্বরত থাকবেন।