শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে নাকি বন্ধ, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার স্থানীয় প্রশাসনের ওপর ছেড়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।
Published : 26 May 2024, 05:03 PM
ঘূর্ণিঝড় রেমালের কারণেউপকূলীয় এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হবে, এ কারণে সেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ রাখতে বলেছে সরকার।
আর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে নাকি বন্ধ, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার স্থানীয় প্রশাসনের ওপর ছেড়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।
রোববার আন্তঃমন্ত্রণালয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সমন্বয় কমিটির সভা শেষে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, “ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে, তবে ক্লাস চলবে না।”
রাজধানীতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে এক কর্মশালা শেষে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, " শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো ব্যবহার ও ক্লাস চালু বা বন্ধ রাখার বিষয়ে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি সিদ্ধান্ত নিবে।"
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগও একই নির্দেশনা দিয়েছে।
তাতে বলা হয়েছে, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি পরিস্থিতি বিবেচনা করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো ব্যবহার ও শ্রেণি কার্যক্রমের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে দেশের উপকূলীয় এলাকায় ইতোমধ্যে ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টি শুরু হয়েছে।
বর্তমান উত্তরমুখী গতিপথ অব্যাহত থাকলে রেমাল রোববার সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাতের দিকে বাংলাদেশের খেপুপাড়া ও ভারতের সাগর দ্বীপের মাঝামাঝি এলাকা দিয়ে উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
অতি ভারিবর্ষণের প্রভাবে কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রামের পাহাড়ি অঞ্চলের কোথাও কোথাও ভূমিধস হতে পারে বলেও সতর্ক করেছে আবহাওয়া অফিস।