শিশুটিকে হাসপাতালে নেন ওই বাইকের চালকই।
Published : 21 Jan 2023, 11:58 PM
চার বছরের মেয়ের কাছে তিন বছরের ছেলেকে রেখে পোশাক কারখানার কাজে গিয়েছিলেন মা; আর বাবা বেরিয়েছিলেন রিকশা চালাতে। সাঁঝবেলায় ছোটভাইকে রেখে বাইরে বের হওয়া রোজিনা রাস্তা পার হতে গিয়ে গুরুতর আহত হয়েছে বাইকের ধাক্কায়।
শনিবার ঢাকার মধুবাগের এ ঘটনায় আহত শিশুটি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন, তবে রাত ১২টা পর্যন্ত শিশুটির জ্ঞান ফেরেনি।
মেয়েকে এই অবস্থায় দেখে দিশেহারা বাবা-মা।
রিকশাচালক বিল্লাল হোসেন ও পোশাক কর্মী রাবেয়া খাতুন তাদের দুই ছেলেমেয়েকে নিয়ে মধুবাগ ৩ নম্বর গলিতে ভাড়া ঘরে থাকেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, “শিশুটি নিউরো সার্জারি বিভাগে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে অবহিত করা হয়েছে।”
যে মোটরসাইকেলে শিশুটি আহত হয়েছিলন তার চালক তানজিনুর রহমানসহ দুজন রোজিনাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসেন।
তানজিনুর বলেন, “সন্ধ্যা আনুমানিক পৌনে ৬টার দিকে রামপুরা থেকে মধুবাগের দিকে যাওয়ার সময় মধুবাগের রাস্তার অদূরে তিনটি শিশু রাস্তা পার হচ্ছিল। দুটি শিশু রাস্তা পার হতে পারলেও এই শিশু অর্ধেক রাস্তায় হঠাৎ থেমে যায়।
“অনেক চেষ্টা করেও রক্ষা করতে পারিনি, মোটরসাইকেলের ধাক্কা লেগে ছিটকে পড়ে শিশুটি।”
ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে শিশুটিকে প্রথমে স্থানীয় কমিউনিটি হাসপাতাল এবং পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।
এদিকে কাজ থেকে ফিরে মেয়েকে না পেয়ে প্রতিবেশীর কাছে দুর্ঘটনার খবর পান মা। ছোট ছেলেকে কোলে নিয়ে তিনি খোঁজ করতে করতে থানা থেকে ঢাকা মেডিকেলে ছুটে আসেন।
রোজিনা তখন হাসপাতালের বিছানায় নিথর, মুখে অক্সিজেন মাস্ক। মেয়েকে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন মা, অনেক ডাকাডাকি করেন। সাড়া না পেয়ে কী যে করবেন, তা নিয়ে দিশেহারা অবস্থা তার।
শিশুটির মা বলেন, রোজিনার কাছে ছোট ছেলে হাবিবকে রেখে তিনি কাজে যান। শিশুর বাবাও কাজে বাইরে ছিলেন। কাজ শেষে বাসায় ফেরে দুর্ঘটনার খবর পান তিনি।
রোজিনাদের গ্রামের বাড়ি ঠাকুরগাওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার জাবর হাট গ্রামে।