তদন্ত কর্মকর্তা আসামিদের সাত দিন জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি চাইলে বিচারক চার দিন মঞ্জুর করেন।
Published : 29 Jul 2024, 09:49 PM
কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে রামপুরায় বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) ভবনে হামলা-ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের মামলায় ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির দুই আহ্বায়কসহ সাতজনকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি পেয়েছে পুলিশ।
তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনে সোমবার ঢাকা মহানগর হাকিম রশিদুল আলম তাদের চার দিন রিমান্ডের আদেশ দেন।
আসামিরা হলেন- বিএনপির চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক সাইফুল আলম নীরব, দক্ষিণের আহ্বায়ক রফিকুল আলম মজনু, রশীদুজ্জামান মিল্লাত, সৈয়দ এহসানুল হুদা, মহিউদ্দিন হৃদয় ও তরিকুল ইসলাম।
তদন্ত কর্মকর্তা ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) খিলগাঁও জোনাল টিমের পরিদর্শক মোহাম্মদ ইয়াসিন শিকদার আসামিদের সাত দিন রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন।
আসামিদের পক্ষে আইনজীবী মহসিন মিয়া, ওমর ফারুক ফারুকী, মোসলেহ উদ্দিন জসিম, সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের প্রধান কৌঁসুলি আব্দুল্লাহ আবু জামিনের বিরোধিতা করেন। শুনানি নিয়ে বিচারক চার দিন জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন।
এজলাসে বিএনপির চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শিমুল বিশ্বাস বলেন, “আমি এক মাস ঢাকার বাইরে ছিলাম। ১৯ জুলাই শুক্রবার ঢাকায় ফিরি। পাবনাতে একটা সেমিনারে স্পিকার হিসেবে ছিলাম। আমি বাংলাদেশের নাগরিক। দেশ আমাদের। আইনের শাসনের প্রতি আমরা সবাই ওয়াদাবদ্ধ।
“দেশের এসব সম্পদের প্রতি আমাদেরও মায়া আছে। আমরা এসব ধ্বংসের পক্ষে নই। এখন আমরা একটা পক্ষে আছি, সরকার আরেকটা পক্ষে আছে। আমরা সবাই বাংলাদেশের নাগরিক। দেশে আইনের শাসন চাই।”
শিমুল বিশ্বাসের এ বক্তব্যের বিরোধিতা করে কৌঁসুলি আব্দুল্লাহ আবু বলেন, “দেশের প্রতি যদি তাদের মায়া থাকত, এ সব স্থাপনার প্রতি যদি মায়া থাকত, আইনের শাসনের প্রতি যদি শ্রদ্ধা থাকত, তবে তারা এই সব ভাঙচুর ক্ষয়ক্ষতি করা থেকে তাদের লোকজনকে বিরত থাকতে বলতেন। কর্মসূচি স্থগিত রাখতে আহ্বান করতেন।”