ঢাকার গুলশানের সিটি প্যালেস গেস্ট হাউজ অ্যান্ড স্পা সেন্টারের মালিকসহ ২৯ জনের নাম আছে মামলায়। অজ্ঞাত আসামি ১৫ থেকে ২০ জন।
Published : 26 Jun 2024, 10:44 PM
স্পার আড়ালে যৌন কাজে বাধ্য করার অভিযোগে মানবপাচার আইনের মামলায় গ্রেপ্তার ২৪ আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বুধবার ঢাকার মহানগর হাকিম তাহমিনা হকের আদালত এ আদেশ দেন। তাদের রিমান্ড ও জামিনের বিষয়ে শুনানি হবে বৃহস্পতিবার।
বুধবার তাদেরকে আদালতে হাজির করে ১৪ জনকে পাঁচ দিনের রিমান্ড ও ১০ জনকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) উপ-পরিদর্শক এএইচএম ফজলে রাব্বি৷ আসামিরা করেন জামিনের আবেদন।
পরে দুই পক্ষের বক্তব্য শুনে আদালত এই আদেশ দেন।
আসামিরা হলেন: মো. রাকিব সবুজ, মোবারক আলী, মোহামাদ তাহমিদ আহমেদ, মো. শিপন ওরফে সাব্বির, নাদির উদ্দিন নাঈম, মো. শিফাত রাসেল, মো. ইব্রাহিম খলিল সাগর, ফরহাদ হোসেন হৃদয়, মোহামাদ জামাল, মো. মিরাজ, মোহাম্মাদ ফরহাদ হোসেন, মোহাম্মদ ফারুক মিয়া, শামীম রায়হান;
সরকার নাহিদুল ইসলাম, রাফসান হাবিব, মো. আলমগীর হোসেন, মোহামম্মদ ইমাম হোসেন দর্জি, নাবিব আহসান, মিজানুর রহমান, মোহাম্মদে আমিনুল ইসলাম, ইয়াসিন আরাফাত, মো. আবু তাহের, আদনান সাঈদ ও হোসেন তাহসিন।
আদালত পুলিশের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এস আই তাহমিনা এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এ মামলায় ভুক্তভোগী ১৩ নারী আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, “ঢাকার গুলশানের সিটি প্যালেস গেস্ট হাউজ অ্যান্ড স্পা সেন্টারের মালিক মো. মিজানুর রহমান ও ম্যানেজার মো. রইচ উদ্দিনসহ অন্য আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে স্পা ব্যবসার আড়ালে যৌন শোষণ ও যৌন নিপীড়নমূলক কার্যকলাপ পরিচালনা করে আসছেন।
“তারা দীর্ঘ দিন ধরে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে বিভিন্ন বয়সী মেয়েদের চাকরির প্রলোভনে ডেকে এনে উল্লিখিত স্থানে আটকে রেখে পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করে। অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হওয়ার জন্য স্পা ব্যবসার আড়ালে পতিতালয় স্থাপন ও পরিচালনা করে তরুণীদের পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করেন।“
তারা মানবপাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন ২০১২ এর ৭/৮/১১/১২/১৩ ধারায় অপরাধ করেছেন উল্লেখ করে সিআইডির উপ-পরিদর্শক ইমরান আহাম্মেদ ২৯ জনের নাম উল্লেখ করে গুলশান থানায় মামলা করেন। আরও ১৫ থেকে ২০ জনকে করা হয়েছে অজ্ঞাতনামা আসামি।
আসামিদের মধ্যে সিটি প্যালেস গেস্ট হাউজ অ্যান্ড স্পা সেন্টারের মালিক মো. মিজানুর রহমান, ম্যানেজার মো. রইচ উদ্দিন, ফ্ল্যাটের কেয়ারটেকার মোহাম্মদ লোকমান হোসেন খান, ফ্ল্যাটের মালিক মো. আজাহার আলী ও মাহাবুবুর রহমান শোভন পলাতক।