সম্মেলনে অংশ নেওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের কথা রয়েছে প্রধান উপদেষ্টার।
Published : 09 Feb 2025, 08:07 PM
ওয়ার্ল্ড গভর্নমেন্টস সামিটে যোগ দিতে মঙ্গলবার দুবাই যাচ্ছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস।
রোববার এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য দিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রফিকুল আলম বলেন, সম্মেলনে অংশ নেওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের কথা রয়েছে প্রধান উপদেষ্টার।
এ সম্মেলনে অংশ নেওয়া রাজনৈতিক ও ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার সৌজন্য সাক্ষাতের সম্ভাবনার কথাও বলেন তিনি।
মুখপাত্র বলেন, আগামী ১১ থেকে ১৩ ফেব্রুয়ারি দুবাইতে ওয়ার্ল্ড গভর্নমেন্টস সামিট-২০২৫ অনুষ্ঠিত হবে। অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়ে গত ১৩ জানুয়ারি প্রধান উপদেষ্টাকে আমন্ত্রণপত্র পাঠান সংযুক্ত আরব আমিরাতের উপ-রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী এবং দুবাইয়ের শাসক শেখ মোহাম্মদ বিন রাশিদ আল মাকতুম।
ওই সম্মেলন সম্পর্কে তিনি বলেন, ওয়ার্ল্ড গভর্নমেন্টস সামিট দুবাইয়ের শাসক মোহাম্মদ বিন রাশিদ আল মাকতুমের নেতৃত্বে ২০১৩ সালে গঠিত সরকারসমূহের অভিজ্ঞতা বিনিময়ের একটি বৈশ্বিক প্ল্যাটফর্ম।
“বিগত এক দশক করে ধরে প্ল্যাটফর্মটি ১৪০টি দেশের আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহ, চিন্তাবিদগন, বৈশ্বিক সিদ্ধান্ত গ্রহিতা এবং বেসরকারি নেতৃবৃন্দকে একত্রিত করার মাধ্যমে একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যতের রূপরেখা প্রণয়নে কাজ করে যাচ্ছে।”
এবারের সম্মেলন সরকারগুলোর মধ্যে কার্যকরী অংশীদারত্ব ও বৈশ্বিক মতবিনিময় এবং সহযোগিতা বৃদ্ধির মাধ্যমে সরকার ও জনগণের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরিতে উদ্যোগ অব্যাহত রাখবে বলে মন্তব্য করেন রফিকুল আলম।
তিনি বলেন, সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার অংশগ্রহণের মাধ্যমে বৈশ্বিক বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে তার চিন্তা ও বৈশ্বিক বিভিন্ন ইস্যুতে বাংলাদেশের অবস্থান তুলে ধরার সুযোগ রয়েছে।
রফিকুল আলম বলেন, সম্মেলনের “বিভিন্ন অধিবেশনে বক্তৃতা দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ পেয়েছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সংক্রান্ত বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী এবং বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী।”
আমিরাতের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, “অর্থনৈতিক সহযোগিতা এবং অভিন্ন রাজনৈতিক স্বার্থের ওপর ভিত্তি করে সম্পর্ক ক্রমশ সুসংহত হয়েছে। দেশটিতে বসবাসরত বড় সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশি রেমিটেন্স প্রেরণের মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন।
“এছাড়া, টেক্সটাইল, কৃষিপণ্য ও জ্বালানি ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ক্রমবর্ধমান। উভয়দেশ জাতিসংঘ ও ওআইসির মত আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে একসঙ্গে কাজ করছে। সংযুক্ত আরব আমিরাত সরকার বাংলাদেশের অবকাঠামো ও স্বাস্থ্যখাতসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ খাতে নিয়মিতভাবে বিনিয়োগ করছে।”
বাংলাদেশিদের জন্য আরব আমিরাতের ই-ভিসা চালুর বিষয়ে এক প্রশ্নে মুখপাত্র বলেন, দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা আছে। সেই বৈঠকে বিষয়টি উত্থাপন করা হতে পারে।
দুবাইয়ে ওয়ার্ল্ড গভর্নমেন্ট সামিটে আমন্ত্রিত মুহাম্মদ ইউনূস