ডিগ্রি বাতিলের মত ঘটনা এএনইউ এর ইতিহাসে আর ঘটেনি।
Published : 23 Apr 2025, 12:14 PM
গুম, গণহত্যার মত মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ মাথায় নিয়ে বিদেশে পালিয়ে থাকা বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দুই যুগ আগে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি দেওয়ার সিদ্ধান্ত পর্যালোচনার কথা জানিয়েছে অস্ট্রেলিয়ার একটি শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়।
অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (এএনইউ) জানিয়েছে, ১৯৯৯ সালে শেখ হাসিনাকে তারা যে ডক্টর অব লজ ডিগ্রি দিয়েছিল, বিশ্ববিদ্যালয়ের অনারারি কমিটি তা পর্যালোচনা করছে।
অস্ট্রেলিয়ার দৈনিক ক্যানবেরা টাইমস লিখেছে, এ বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ পর্যালোচনার পর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেবে–শেখ হাসিনাকে দেওয়া সম্মানসূচক ডিগ্রি তারা কেড়ে নেবে কি না।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ২০২৪ সালের ৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রিত্ব ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে তার দল আওয়ামী লীগের টানা দেড় দশকের শাসনের অবসান ঘটে।
সেই আন্দোলন দমাতে শেখ হাসিনা সরকারের চালানো নিপীড়ন ও হত্যার ঘটনাগুলোকে মানবতাবিরোধী অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে তার বিচারের উদ্যোগ নেয় বাংলাদেশের অন্তবর্তী সরকার।
জাতিসংঘ মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, জুলাই-অগাস্টে বড় আকারের অভিযানগুলোতে প্রাণহানির ঘটনাগুলো সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সরকারের শীর্ষ ব্যক্তিদের ‘নির্দেশনা ও তদারকিতে’ সংঘটিত হয়েছিল।
সরকারে থাকা অবস্থায় পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যবহার করে বিরোধী মতের শত শত কর্মীকে অপহরণ, নির্যাতন, গুম ও হত্যার অভিযোগও রয়েছে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে।
এছাড়া বিগত ১৫ বছরে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দুর্নীতির বিভিন্ন অভিযোগও এখন সামনে আসছে। শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির কয়েকটি মামলাও হয়েছে ইতোমধ্যে। অন্তত তিন মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে।
এমন প্রেক্ষাপটে শেখ হাসিনাকে দেওয়া ডিগ্রি বাতিলের বিষয়টি বিবেচনা করার কথা জানাল অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (এএনইউ)।
ক্যানবেরা টাইমস লিখেছে, ডিগ্রি বাতিলের মত ঘটনা এএনইউ এর ইতিহাসে আর ঘটেনি। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে একটি নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ার মধ্যে কাজ করছে। পর্যালোচনা শেষে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবে বিশ্ববিদ্যালয়।