মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টায় এক মিনিট পুরো দেশ অন্ধকারে থাকবে।
Published : 23 Mar 2025, 02:12 PM
একাত্তরে বাঙালি জাতির ওপর পাকিস্তান সেনাবাহিনীর হত্যাযজ্ঞের বিভীষিকার ভয়াল রাতটিকে আলো নিভিয়ে স্মরণ করবে বাংলাদেশ।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টায় এক মিনিট পুরো দেশ অন্ধকারে থাকবে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
রোববারের এই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গণহত্যা দিবস স্মরণে ওইদিন সারাদেশে রাত ১০:৩০ মিনিট থেকে ১০:৩১ মিনিট, ১ মিনিটের প্রতীকী ব্ল্যাক আউট করা হবে।
এ কর্মসূচির আওতামুক্ত থাকবে কেবল কেপিআই ও জরুরি স্থাপনা।
তবে গুরুত্বপূর্ণ সরকারি, আধা- সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত এবং বেসরকারি ভবন ও স্থাপনাসমূহে কোনো অবস্থাতেই রাতে আলোকসজ্জা করা যাবে না বলেও জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।
১৯৭১ সালের ৭ মার্চ রেসকোর্স মাঠে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণে স্বাধীনতার দিকনির্দেশনা পাওয়ার পর মুক্তিকামী জনতার মধ্যে বিদ্রোহ দানা বাঁধতে থাকে। অন্যদিকে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী নিধনযজ্ঞের প্রস্তুতি নেয়।
বাঙালির মুক্তির আন্দোলনকে চিরতরে স্তব্ধ করে দেওয়ার জন্য ২৫ মার্চ রাতে এ দেশের নিরস্ত্র মানুষের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী, শুরু হয় ‘অপারেশন সার্চলাইট’।
সেই অভিযানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজারবাগ পুলিশ লাইনস, রমনা কালীমন্দিরসহ বিভিন্ন এলাকায় শুরু হয় গণহত্যা। শুধু ঢাকাতেই অন্তত ৭ হাজার বাঙালিকে হত্যা করা হয়।
পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার আগে ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে যান। সশস্ত্র সংগ্রামে লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে আসে স্বাধীনতা।
গণহত্যা দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টা বাণী দেবেন।
স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসাসহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিশিষ্ট ব্যক্তি ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কণ্ঠে এদিন গণহত্যার স্মৃতিচারণ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকাসহ সব সিটি কর্পোরেশনের মিনিপোলে গণহত্যার ওপর দুর্লভ আলোকচিত্র ও প্রামাণ্যচিত্র প্রচার করা হবে।
দিনটিতে রাজধানীর মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে সকাল ১০টায় অথবা সুবিধাজনক সময়ে গণহত্যা ও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে সভার আয়োজন করা হবে।
ঢাকাসহ দেশের প্রতিটি সিটি করপোরেশনে গণহত্যার ওপর দুর্লভ আলোকচিত্র ও প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজনও থাকছে এবং বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতার প্রচারে হবে কিছু অনুষ্ঠান।
কালরাতে নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে এদিন বাদ জোহর বা সুবিধাজনক সময় দেশের সব মসজিদে বিশেষ মোনাজাত ও অন্যান্য উপাসনালয়ে প্রার্থনা করা হবে।