পবন সাহা নামের এক দোকানকর্মী বলেন, “অগ্নিকাণ্ডের কিছুক্ষণ পর সাড়ে ৫টার দিকে ভবনের ১১ বা ১২তলা থেকে তার ধরে নামার চেষ্টা করছিলেন কয়েকজন। এসময় বোরকা পরা একজন নারী নামতে গিয়ে প্রথমে এসির ওপর পড়েন, তারপর নিচে পড়ে যান।”
Published : 26 Oct 2023, 07:31 PM
মহাখালীর খাজা টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের সময় আতঙ্কিত এক নারী নবমতলার বারান্দা দিয়ে নামতে গিয়ে উপর থেকে পড়ে নিহত হয়েছেন।
এছাড়া ওপর থেকে দড়ি বেয়ে নামতে গিয়ে ও মাথায় কাচ পড়ে আহত হয়েছেন কয়েকজন; ধোঁয়ায় অসুস্থ হয়েছেন অনেকেই।
নিহত নারীর নাম হাসনা হেনা (২৭)। তিনি ওই ভবনের নয় ও দশ তলায় অবস্থিত রেইস অনলাইন লিমিটেডের কর্মী।
মহাখালীর মেট্রোপলিটন হাসপাতালের তথ্যকেন্দ্রের কর্মী মো. আরিফুল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, তাদের হাসপাতালে একজন নারীকে মৃত অবস্থায় আনা হয়েছে। তার বয়স ত্রিশের মতো হতে পারে।
১৪ তলা ভবনটিতে ব্যাংক, তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানসহ কয়েকটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের অফিস রয়েছে। ভবনের নবম ও দশম তলা মিলিয়ে রেইস অনলাইনের কার্যালয়, সার্ভার রুম।
ওই প্রতিষ্ঠানের একজন কর্মী জানান, তাদের একজন নারী সহকর্মী পেছন দিকের বারান্দা থেকে তার ধরে নামার সময় পড়ে গেছেন বলে তারা শুনেছেন।
ভবনটি থেকে ওই নারীকে পড়ে যেতে দেখেছেন পবন সাহা নামের এক দোকানকর্মী।
তিনি বলেন, “অগ্নিকাণ্ডের কিছুক্ষণ পর সাড়ে ৫টার দিকে ভবনের ১১ বা ১২ তলা থেকে তার ধরে নামার চেষ্টা করছিলেন কয়েকজন। এসময় বোরকা পরিহিতা একজন নারী নামতে গিয়ে প্রথমে এসির ওপর পড়েন, তারপর নিচে পড়ে যান।
“নিচে ভিড়ের মধ্যে থেকে একজন ওই নারীকে ধরার চেষ্টা করেছিলেন। ওই নারী তার ওপর পড়লে তিনিও আহত হন। পরে দুইজনকেই হাসপাতালে পাঠানো হয়।”
এদিকে মহাখালীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তথ্যকেন্দ্রের কর্মী আনিসুর রহমান রাত পৌনে ৭টায় জানান, তাদের হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ডে আহত হয়ে দুজন এসেছেন। একজনের হাত পুড়ে গেছে, আরেকজনের পা ভেঙে গেছে।
বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টার দিকে ওই ভবনের ১৩ তলায় আগুন লাগে বলে ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা শাহজাহান শিকদার জানান।
তিনি বলেন, আগুন লাগার খবর পাওয়ার পর ১১ ইউনিট আগুন নেভাতে ও উদ্ধার কাজে যোগ দেয়।
ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, ওই ভবন থেকে তারা পাঁচজনকে উদ্ধার করেছে।
এদিকে আগুন নেভানোর কাজে ফায়ার সার্ভিসকে সহায়তায় সেনা, নৌ, বিমান বাহিনী ছাড়াও সাত প্লাটুন আনসার মোতায়েন করা হয়েছে।
আগুন লাগার পর আমতলী থেকে গুলশান এক নম্বরমুখী সড়কের দুই পাশে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।